সংসদের বাইরে থাকা বিএনপির সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে আগামী ১৮ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সংলাপ।
তার প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানিয়েছেন, প্রথম দিন বিকেল সাড়ে ৪টায় বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সূচি ঠিক করা হয়েছে।
এরপর ২০ ডিসেম্বর সংসদের প্রধন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি, ২১ ডিসেম্বর লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগ এবং ২২ ডিসেম্বর জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সঙ্গে আলোচনায় বসবেন রাষ্ট্রপতি।
“পর্যায়ক্রমে অন্যান্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে,” বলেন জয়নাল আবেদীন।
বঙ্গভবনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের সূচি সম্পর্কে জানিয়েছেন।
২০১২ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই ‘সার্চ কমিটির’ মাধ্যমে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষে নতুন যে ইসি দায়িত্ব নেবে, তার অধীনেই ২০১৯ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।
এবারও ‘সার্চ কমিটি’ করে রাষ্ট্রপতি নতুন কমিশন নিয়োগ দেবেন বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আগেই জানিয়েছিলেন।
নতুন ইসি ও সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির বক্তব্য জানাতে গত নভেম্বর মাসে সংবাদ সম্মেলনে আসেন সংসদের বাইরে থাকা দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সেখানে যে ১৩ দফা প্রস্তাব তিনি তুলে ধরেন, তার মূল কথা ছিল ‘সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, অথবা স্বাধীনতার পর প্রথম জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে এমন সকল রাজনৈতিক দলের’ মতৈক্যের ভিত্তিতে নতুন ইসি গঠন করতে হবে।
গত ৬ ডিসেম্বর বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল ওই প্রস্তাব বঙ্গভবনে পৌঁছে দেন।
আওয়ামী লীগের নেতারা খালেদা জিয়ার ওই অবস্থানের সমালোচনা করেছেন। আর প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি বলেছে, সংসদের বাইরে থাকা কোনো দলকে এই সংলাপে ডাকার প্রয়োজন তারা দেখছে না।
বিএনপিনেত্রীর প্রস্তাব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “উনার প্রস্তাব উনি দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতিকে বলুক। এটা রাষ্ট্রপতি ভালো বুঝবেন, উনি কী পদক্ষেপ নেবেন। রাষ্ট্রপতি যে পদক্ষেপ নেবেন সেটাই হবে। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই।”