শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ২০শে আশ্বিন ১৪৩১
Smoking
 
গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশ: ১১:৫৪ am ২০-০৮-২০১৭ হালনাগাদ: ০২:১৭ pm ২০-০৮-২০১৭
 
 
 


গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে ৭৬ কেজি বোমা পুঁতে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জনের এ আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার (২০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম। বিস্ফোরক আইনের মামলায় অপর ৯ জনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড ৪ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। এর আগে গত ১০ আগস্ট আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন বিচারক।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার শেখ লুত্ফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশে কবি সুকান্ত সেবা সংঘের একটি দোকানের সামনে মাটিতে পুঁতে রাখা ৭৬ কেজি ওজনের বোমা উদ্ধার করা হয়। এর দু’দিন পর নিজের নির্বাচনী এলাকার ওই কলেজ মাঠে জনসভায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। এ ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার এসআই নূর হোসেন বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অভিযোগপত্রে আসামি করা হয় ১৬ জনকে। এর মধ্যে ফাঁসির কার্যকর হওয়া মুফতি হান্নানের নামও রয়েছে।

পরে ২০০৯ সালের ২৯ জুন নতুন করে ৯ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। গোপালগঞ্জের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্রটি যখন দেওয়া হয়, তখন রাষ্ট্রপক্ষে ৮৯ সাক্ষীর মধ্যে ৪১ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়ে গিয়েছিল। পরে তখনকার বিচারিক আদালতের বিচারক গোলাম মুরশেদ ওই ৪১ সাক্ষীকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আবার ডাকেন। ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে মামলাটি স্পর্শকাতর ও আলোচিত হওয়ার কারণে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য গোপালগঞ্জের আদালত থেকে ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বদলি করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হল-মো. মহিবুল্লাহ, মুন্সী ইব্রাহিম, মো. মাহমুদ আজহার, মো. রাশেদ ড্রাইভার, মো. শাহ নেওয়াজ, মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, শেখ মো. এনামুল ও মো. মিজানুর রহমান।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT