ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তি, আইন শৃঙ্খলার অবনতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দলের দুই মেয়রকে বহিষ্কার, ছাত্রদল নেতা নুরু হত্যাকাণ্ডসহ চলমান নানা ইস্যুতে কর্মসূচি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
রোববার (০২ এপ্রিল) রাতে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয় তারা। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হয় এ বৈঠক। শেষ হয় রাত সোয়া ১১টায়।
খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তরিকুল ইসলাম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা অব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও গয়েশ্বরচন্দ্র রায়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে সে দেশের সঙ্গে সম্ভাব্য সামরিক চুক্তি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় বৈঠকে। এতে অংশ নেওয়া নেতারা মনে করেন ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তি হলে- এই চুক্তি তো বটেই অতীতে স্বাক্ষর হওয়া ‘দেশবিরোধী’ সব চুক্তি বাতিলের দাবিতে বিএনপির কর্মসূচি দেওয়া উচিত।
এ ছাড়া আইন শৃঙ্খলার অবনতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দলের দুই মেয়রকে বহিষ্কার, ছাত্রদল নেতা নুরু হত্যাকাণ্ডসহ চলমান নানা ইস্যুতেও কর্মসূচি দেওয়ার পক্ষে মত দেন স্থায়ী কমিটির বেশিরভাগ সদস্য।
তবে কর্মসূচির ধরন ও কবে নাগাদ এ কর্মসূচি দেওয়া হবে- সে ব্যাপারে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দলের মহাসচিব সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বসে কর্মসূচির ধরন ও দিনক্ষণ ঠিক করবেন। জোট শরিকদের সঙ্গেও কথা বলবেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, ইস্যু যতো বড়ই হোক কঠোর কর্মসূচির দিকে যাবে না বিএনপি। আপাতত বিক্ষোভ কর্মসূচির কথাই ভাবছি আমরা।