নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (এনসিসি) নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের পক্ষে গণসংযোগে নেমেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার বেলা ১১টায় সাখাওয়াতকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব এবং ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা শহরের ডিআইটি এলাকা থেকে গণসংযোগ শুরু করেন।
পায়ে হেঁটে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক দিয়ে গণসংযোগকালে ফখরুলের পেছনে কয়েকশ নেতাকর্মীর মিছিল ছিল। এসময় মানুষের হাতে হাতে লিফলেট তুলে দিয়ে সাখাওয়াতের জন্য ভোট চান মির্জা ফখরুল। বঙ্গবন্ধু সড়কের চাষাঢ়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি।
সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গণসংযোগ শুরুর প্রাক্কালে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল ভোট চেয়ে বলেন, “এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে। নির্বাচন কতটুকু সুষ্ঠু হয় সেটা এ নির্বাচনেই মানুষ বুঝতে পারবে। আর এ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই আগামী জাতীয় নির্বাচনের সুষ্ঠুতা বিবেচনা করা যাবে।”
তিনি বলেন, “আজ সব মানুষ গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকারের দাবিতে একত্রিত হয়েছে। সন্ত্রাসী গডফাদারদের বিরুদ্ধে তারা আজ একত্রিত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। তারা বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেনকেই নির্বাচিত করবে এটা আমার বিশ্বাস। এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের জয় হবে।”
নারায়ণগঞ্জের ভোটারদের প্রতি আবেদন রেখে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘নারায়ণগঞ্জের মানুষ যারা আইনের শাসনে বিশ্বাস করে, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, যারা ভোটের অধিকারে বিশ্বাস করে, যারা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, তারা আজকে সবাই একত্রিত হয়েছে। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জের মানুষ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার প্রার্থী, ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন।”
ফখরুল ইসলাম বলেন, “অনির্বাচিত সরকার দেশের গণতন্ত্র হরণ করেছে। মানুষকে মৌলিক অধিকার ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।”
তিনি বলেন, “আজ মানবাধিকার দিবস। কিন্তু এ দিবসে আজ বাংলাদেশে হত্যা, গুম, খুন করে মানবধিকার লঙ্ঘন করেছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে শুধু বিরোধী দল নয় সাধারণ মানুষকেও হয়রানি করা হচ্ছে।”
দলের চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুল ধানের শীষের ছড়া সিটি মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের হাতে তুলে দেন। এসময় তুমুল করতালি দিয়ে নেতাকর্মীরা সমর্থন জানান।
গণসংযোগে ২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সচিব গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা জেলা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, দলের সহ-সভাপতি সেলিমুজ্জামান সেলিম, কল্যাণপার্টির ইব্রাহিম, জাতীয় পার্টির মোস্তফা জামাল হায়দার প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু, সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম, সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন, আবুল কালাম, নগর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল প্রমুখ।