শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪ ২০শে আশ্বিন ১৪৩১
Smoking
 
নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রকাশ: ০৯:২৪ am ১৮-০৯-২০১৭ হালনাগাদ: ০৯:৩৪ am ১৮-০৯-২০১৭
 
 
 


জাতিসংঘের ৭২তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে তিনি নিউইয়র্কে পৌঁছান।

এ সময় তাকে অভ্যর্থনা জানান- যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জিয়াউদ্দিন এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন। বিমানবন্দরের বাইরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। 

এরপর বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কের হোটেল গ্রান্ড হায়াতে যান। সফরকালে সেখানেই অবস্থান করবেন তিনি। 

এরআগে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা ১০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৯১১ ফ্লাইট নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যায়।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর জ্যেষ্ঠ সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনী প্রধান, পুলিশ প্রধানসহ বেসামরিক ও সামরিক উচ্চ-পদস্থ কর্মকর্তারা।

স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবী বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। সেখানে যাত্রা বিরতির পর ১৭ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ১০টায় ইতিহাদ এয়ারলাইন্সের ইওয়াই-১০১ ফ্লাইটে নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দেন শেখ হাসিনা। 

২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন শেখ হাসিনা। এর ফাঁকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও মিলিত হবেন তিনি।

নিউইয়র্কে পৌঁছানোর পরদিনই ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী অংশ নেবেন যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতন প্রতিরোধ বিষয়ক একটি শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকে। 

এরপর ‘জাতিসংঘ সংস্কারে রাজনৈতিক ঘোষণা’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক সভায়ও অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে অনুষ্ঠেয় এ সভায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সভাপতিত্ব করবেন এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বক্তব্য রাখবেন। 

একই দিন প্রধানমন্ত্রী ভালো কাজ ও অংশগ্রহণমূলক প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে বিশ্ব সম্প্রদায়ের ভূমিকা বিষয়ক একটি শীর্ষ পর্যায়ের ফলোআপ বৈঠকে অংশ নেবেন।

১৯ সেপ্টেম্বর তিনি অংশ নেবেন ‘নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে কেউ পিছিয়ে পড়বে না বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের সর্বোচ্চ পরিষদের শীর্ষ পর্যায়ের গোলটেবিল আলোচনায়’।

একইদিন রোহিঙ্গাদের ওপরে মিয়ানমার সরকারের সহিংসতা, নিপীড়ন এবং এর ফলশ্রুতিতে প্রাণভয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার বিষয়ে ওআইসি’র যোগাযোগ গ্রুপের একটি সভায় অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী।

২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালে বাংলাদেশের আয়োজনে দু’টি উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভা দু’টি হলো— ‘এসডিজি বাস্তবায়ন, অর্থায়ন ও পর্যবেক্ষণ: দক্ষিণ দক্ষিণ ও ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্ভাবনমূলক কাজ ভাগাভাগি’ এবং ‘এসডিজির জন্য অর্থায়নে নীতি ভিশন তৈরি: এসডিজি খাতে বেসরকারি বিনিয়োগের সুবিধা বাড়ানো’। দুই সভায়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। 

এদিন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পুনর্গঠন এবং সংস্কারের বিষয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি ইথিওপিয়া কর্তৃক আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের (রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান পর্যায়ের) উন্মুক্ত বিতর্কেও অংশগ্রহণ নেবেন শেখ হাসিনা।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। 

২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিবের উদ্যোগে গঠিত পানিসম্পদ বিষয়ক শীর্ষ পর্যায়ের পরিষদের চতুর্থ বৈঠকেও অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। 

২১ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষে বক্তব্য রাখবেন। প্রতিবারের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী বাংলায় বক্তব্য রাখবেন।

বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যু, দারিদ্র্য, সুশাসনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT