মুশফিকুর রহমান মোহন ক্রীড়া ক্ষেত্রে যিনি অবদান রেখে চলেছেন নিয়মিত।ক্রিকেট ফুটবল স্কোয়শ দাবা এমন কি তাসের খেলা "ব্রিজ" তিনি বাংলাদেশকে উন্নীত করেছেন বিশ্বকাপ ব্রিজ এর চুড়ান্ত পর্বেও আর ঠিক তেমনি আওয়ামীগের রাজনীতিতে অতি নিরবে তিনি বিশেষ ভূমিকা রেখে চলেছেন।
জনাব মুশফিকুর রহমান মোহন সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ক্ষীদ্রমাটিয়া গ্রামে যার জন্ম। মাত্র এক বৎসর বয়সেই মাতৃ বিয়োগের কারনে শৈশবের একটা সময় কেটেছে গ্রামেই। পারিপারিক কারণে ১ম শ্রেণীর পাঠ চুকিয়ে চলে আসেন ঢাকায় বাবার নিকট।কিন্তু গ্রাম আর গ্রামের মানুষের টান তার ভেতর রয়েই যায়।৬ষ্ঠ শ্রেণী পড়া শেষ করে আবার গ্রামের টানে চলে যান গ্রামে জনাব মুশফিকুর রহমান মোহন। ৭ম ও ৮ম শ্রেনীতে পড়াশুনা করেন সোহাগপুর শ্যামকিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ে এরপর আবার চলে আসেন ঢাকায়। কিন্তু তার মন পড়ে থাকে সেই গ্রাম বাংলায়।
ছোট থেকেই জনাব মুশফিকুর রহমান মোহনের খেলাধুলার প্রতি ছিলো দুর্নিবার আকর্ষণ আর অবাধ টান।তেমনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি শুরু হলো গভীর ভালোবাসা সেই কৈশোর বয়স থেকেই। স্কুলে ছাত্র অবস্থায় মনের অজান্তেই আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে শুরু হয়েছিলো তার পথ চলা।
৭৫ থেকে ৮১ তৎকালীন রাজনীতিতে চলেছে গভীর অন্ধকার সময়। তখন আওয়ামীলীগের নাম উচ্চারণ করাও ছিলো খুবই বিপদজনক। এখনও তার মনে পড়ে ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুর হত্যার খবরটা জানতে পারেন সকালে স্কুলে যাবার পথে বাঁধা গ্রস্থতায়...........। খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র মোহনের কৈশোরের শুরু কিন্তু খুব কেঁদে ছিলেন সেদিন। এখানে বলা প্রয়োজন তখন শুক্রবার সকাল হতে স্কুল চলতো ১২টা পর্যন্ত জুম্মার নামাজের জন্য এবং সাপ্তাহিক ছুটি ছিল শনি ও রোববার।
এখন তার মনে পড়ে ৮১ সালে ১৭ মার্চ যেদিন শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন প্রচন্ড বৃষ্টি ছিলো সেদিন, রাস্তা-ঘাটে ছিলো কড়া নিরাপর্ত্তা, তবুও তিনি সেদিন শুধু নিজ চোখে এক নজর বঙ্গবন্ধু কন্যাকে দেখার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন তেজগাঁও বিমান বন্দরে।
শৈশব থেকে কৈশর তারপর যুবক...তার ভেতর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আওয়ামীলীগের রাজনীতি শিকড় বাধতে শুরু করে।
জনাব মুশফিকুর রহমান মোহন বর্তমানে একজন ক্রীড়া সংগঠক, রাজনীতিবিদ, সমাজসেবী ও সফল ব্যাবসায়ী।
তিনি প্রায় ২ বছর শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব এর স্পোর্টস ডাইরেক্টর ও ক্রিকেট চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সফলতার সঙ্গে পালন করেছেন।
তিনি বিপিএল এ দুরন্ত রাজশাহীর দলের প্রতিষ্ঠাতা কর্ণধার ছিলেন এবং বাংলাদেশে "বিপিএল ক্রিকেট" এর অন্যতম উদ্ভাবকও তিনি।
বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ব্রিজ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশে ক্রিকেট বিশ্বকাপের পর যদি অন্যকোনো খেলা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে থাকে তাহলে ব্রিজ ৪৬ বছরের ইতিহাসে জনাব মুশফিকুর রহমান মোহনের বাংলাদেশ ব্রিজ ফেডারেশনে সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর, তার সঠিক দিক নির্দেশনায় দূরদর্শিতায় সম্ভব হয়েছে বিশ্ব কাপ ব্রিজ ২০১৭ এর মুল পর্বে বাংলাদেশ দলের অংশগ্রহন ।
আমাদের প্রতিবেদক এর সাথে সাক্ষাতে জনাব মুশফিকুর রহমান মোহন বলেন,
১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সিরাজগঞ্জ-৫ বেলকুচি-চৌহালী আসন থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী প্রত্যাশী ছিলেন। তিনি তার নমিনেশনও জমা দেন। আলহাজ আব্দুল লতিফ বিশ্বাস ও আলহাজ আব্দুল মজিদ মন্ডলও নমিনেশও জমা দেন। এর আগে গত ২৫ বছরে ইতিহাসে এই আসনে আলহাজ আব্দুল লতিফ বিশ্বাস এর বিরুদ্ধে কখনোই কেউ নমিনেশন পত্র জমা দেবার সাহস পোষন করেন নাই। সকল বাঁধা অতিক্রম করেও তিনি ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনাব মুশফিকুর রহমান মোহন তার নমিনেশন জমা করেন। তবে তিনি যাতে নমিনেশন জমা না দেন তার জন্য নানা প্রকার প্রতিরোধের সম্মুক্ষীন হয়েছেন প্রোলোভনের সম্মূক্ষীনও হয়েছেন।কিন্তু তিনি সেটা বিন্দু মাত্র কর্ণপাত করেন নাই। তার নমিনেশন জমা দেওয়ার পরই আলহাজ আব্দুল মজিদ মন্ডল জাপান থাকা অবস্থায় তার লোকজন দিয়ে নমিনেশন পত্র জমা করেন। এর প্রেক্ষিতে জনাব মুশফিকুর রহমান মোহনসহ সিরাজগঞ্জ-৫ বেলকুচি-চৌহালী আসন থেকে সর্বমোট ৩ জন নমিনেশন জমা দেন।
আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও জননেত্রী শেখ হাসিনা ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আলহাজ আব্দুল মজিদ মন্ডলকে প্রার্থী নির্বাচন করেন এবং সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ প্রার্থী ঘোষণা করেন এবং বলেন দলের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য।
যদিও আলহাজ আব্দুল মজিদ মন্ডল একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন যেহেতু দল তাকে প্রার্থী ঘোষণা করেছে তাতে জনাব মুশফিকুর রহমান মোহন দল ও সভানেত্রীর আদেশ আর নেত্রীর প্রতি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাবোধের জন্য নেমে পরেন নির্বাচনী প্রচারে। তৎকালীন দেশের পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিলো, রাস্তা ঘাটে চলাচল করা ছিলো জীবন হাতে নিয়ে চলা। তারপরও থেমে ছিলেন না জনাব মুশফিকুর রহমান মোহন। ঢাকা থেকে ছুটে যান নির্বাচনী এলাকায়। তার প্রধান লক্ষ্য নৌকা যে যাত্রা শুরু করেছে তা চলমান রাখতে হবে।
তিনি মনে করেন প্রার্থী কে সেটা বড় বিষয় না বিষয় হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতীক নৌকাকে রক্ষা করা। ৫ই জানুয়ারী ২০১৪ নির্বাচনে অনেক বড় বড় নেতা নির্বাচনে পরাজয় বরণ করেন। এর মূল কারণ মাঠ প্রশাসন, জনসাধারণের মধ্যে সঠিক সমন্বয় করতে না পারা। যে কাজটি অত্যন্ত দক্ষতায় মজিদ মন্ডলের পক্ষে পালন করেছেন জনাব মুশফিকুর রহমান মোহন।
জনাব মুশফিকুর রহমান মোহন ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনে আব্দুল মজিদ মন্ডলের হয়ে নেত্রীর আদেশে বেলকুচি-চৌহালীতে ছুটে যান শত বাঁধা আর বিপত্তি পেরিয়ে। আর এর জন্যে উনাকে সন্মুখীন হতে হয়েছে নানা রকম বিপদে...তবুও তিনি থেমে থাকেননি। এর প্রধান কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনা আর নৌকাকে রক্ষা করা তাঁর প্রধান দায়িত্ব। তিনি রাজনৈতিক যাতাকলে পড়েও হারেন নি। তার ভেতর প্রার্থী হতে না পারার কোনো ব্যাথাই ছিলো না। যদিও মজিদ মন্ডল সেই সময় অরাজনৈতিক ব্যক্তি হয়ে সবে মাত্র রাজনীতিতে পর্দাপণ করেছেন। তাই জনাব মুশফিকুর রহমান মোহনকে নির্বাচন শেষ অবধি হালটা ধরতে হয়েছে। মাঠ প্রশাসন, জনগণ এর সাথে সমন্বয় সাধণ করা প্রচারনা, সবকিছুতেই জনাব মুশফিকুর রহমান মোহন দিন-রাত কাজ করে ছিলেন। শেষাবধি তিনি সার্থক হন। সিরাজগঞ্জ-৫ বেলকুচি-চৌহালী আসন থেকে নৌকার বিজয় পতাকা তিনি উড়াতে সক্ষম হন।
কখনোই শোনা যায়নি সরকারি কোন ব্যবসা বানিজ্য তথা টেন্ডার প্রক্রিয়াতে প্রত্যক্ষ পরোক্ষ অংশগ্রহনে জনাব মুশফিকুর রহমান মোহন এর নাম।শোনা যায়নি কোন সরকারি সুবিধা গ্রহনেও তার নাম।
এরপর এই ত্যাগী নেতা নিশ্চুপ হয়ে পড়েন। অনেকে ভুলে যান তার সেই অবদানের কথা। কিন্তু তিনি থেমে থাকেননি। থাকবেই বা কেন? জনাব মুশফিকুর রহমান মোহনের একটাই আদর্শ আর তা হলো বঙ্গবন্ধুর আদর্শ তার একটাই কর্ম আর সেটা শেখ হাসিনার আদেশ পালন করা। তাই তিনি আর দশ জনের মত প্রকাশ্যে না করে জনগণের সেবা করে যাচ্ছেন। শুধু বেলকুচি-চৌহালী নয় তিনি সেবা করে যাচ্ছেন নিয়মিত দেশে বিপদে থাকা মানুষদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে প্রায় ১০ জনেরও বেশি ফুটবল খেলোয়াড়কে প্রায় ১৫ জন দাবা খেলোয়াড়কে তিনি বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর দলে স্থায়ী চাকুরী পেতে বিশেষ সহযোগীতা করেছেন, যারা শুধুই চাকুরী পাননি পেয়েছেন পেনশন ও অন্যান্য সুবিধাসহ সকল কিছু। আর এসবের অবদান কথা মনে হতেই চলে আসে তাদের মুখে জনাব মুশফিকুর রহমান মোহনের অবদান।
কিন্তু আজ এই নেতা এতো নিশ্চুপ কেনো? জনগনের মধ্যে একটাই প্রশ্ন?
সিরাজগঞ্জ-৫ আসনটি তাঁত শিল্পসমৃদ্ধ বেলকুচি ও যমুনা বিধ্বস্ত চৌহালী উপজেলার মোট ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। বেলকুচির মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৭২ ও চৌহালীর মোট ভোটার ১ লাখ ২ হাজার ৪৫৬। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে এ আসন থেকে যে দলের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন তারাই দেশ পরিচালনা করেছেন। তাই এ আসনের দিকে সব দলেরই বিশেষ নজর থাকে। তাই এই আসনের জনগণ চায় আগামী নির্বাচনে এমন একজন আওয়ামীলীগ প্রার্থী যিনি কিনা নৌকার হাল ধরে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আসতে পারবেন। আর এই ক্ষেত্রে সবাই চায় একজন সৎ, ত্যাগী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নিষ্ঠাবান প্রার্থী। আর জনগণের এই প্রত্যাশার কথা মনে হলেই চলে আসে জনাব মুশফিকুর রহমান মোহনের নাম।
স্থানীয় জনগণের সাথে কথা হলে অনেকে তার অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, তার মত সৎ, ত্যাগী নেতা বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলার উন্নয়নে তার নিশ্চুপতা ভাঙ্গিয়ে, আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনের যোগ্য প্রার্থী হিসাবে বিবেচনা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরধ করেন। বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলার জনসাধারণের মনে আজ একটাই প্রশ্ন জনাব মুশফিকুর রহমান মোহনের মত একজন সৎ, ত্যাগী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নিষ্ঠাবান নেতার এই নিশ্চুপতা কি ভাঙ্গবে? তিনি কি বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলার ভবিষ্যৎ এর হাল ধরবেন? বেলকুচি ও চৌহালী উপজেলার জনগন আজ জননেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান একাদশ জাতীয় নির্বাচনের যোগ্য প্রার্থী মনোনয়নে।