নড়াইল-যশোর ও নড়াইল-খুলনাসহ জেলার বিভিন্ন সড়কে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে বাস ধর্মঘটের কারণে আজ সকাল থেকে এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন।
দুর্ঘটনা কবলিত বাস চালকদের বিরুদ্ধে জেল-জরিমানার আইন প্রণয়নের প্রতিবাদে চালকেরা হঠাৎ করে রোববার সকাল থেকে ধর্মঘট শুরু করেন।
এদিকে হঠাৎ করে বাস ধর্মঘটের কারণে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া অফিস খোলা থাকায় কর্মজীবীরা কর্মস্থলে যেতে পারছেন না। চিকিৎসাসহ অন্যান্য কাজেও গন্তব্যে যেতে পারছেন না যাত্রীরা। চালকদের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
সীমা সরকার নামে এক যাত্রী জানান, তিনি খুলনা যাবেন চিকিৎসকের কাছে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে এসে জানতে পারেন গাড়ি বন্ধ।
ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের মিলন জানান, তিনি ব্যবসাসংক্রান্ত কাজে কুষ্টিয়া যাওয়ার জন্য ভোরে বাড়ি থেকে শহরে এসে জানতে পারেন বাস চলাচল বন্ধ। বাসচালক বা মালিকদের ইচ্ছামতো ধর্মঘট ডাকায় সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে।
জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা সাদেক খান বলেন, ‘বাস ধর্মঘটের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। চালকেরা কাউকে কিছু না জানিয়ে বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। চালকেরা তো আর মাথায় জেল-জরিমানার টেনশন নিয়ে গাড়ি চালাতে পারে না, তাই হয়তো বন্ধ করে দিয়েছে।’