বিএনপি রাজপথে নামলে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব থাকবে না বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে বিএনপির ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।
সভাপতির বক্তব্যে ফখরুল বলেন, আজকে সরকার শৃঙ্খলিত। এজন্য রোহিঙ্গা ইস্যুতেও কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। আমরা চাই, দেশের মানুষ চায় দ্রুত রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হোক। এ মানুষগুলোকে আশ্রয় দেয়া হোক, তাদেরকে খাদ্য দেয়া হোক, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক এবং তাদেরকে সম্মানজনকভাবে ফিরে যাওয়ার জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করা হোক।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিএনপির নোংরা রাজনীতি করছে- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা নোংরা রাজনীতি কখনোই করিনি। নোংরা রাজনীতি করেছেন আপনারা (আওয়ামী লীগ), সেই ১৯৭২ সালে আপনারা ক্ষমতায় আসার পর থেকে এদেশের মানুষের সমস্ত আশা-আকাংখাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের নিশ্চুপ ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি বলেন, লজ্জা হয় আমাদের। যখন দেখি যে, আমাদের সরকার নাড়া-চাড়ার আগেই ইন্দোনেশিয়া থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী চলে আসেন, যখন দেখি যে, তুরস্ক থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ফাস্ট লেডি চলে এসেছেন। যখন দেখি যে, জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল স্টেটম্যান দিচ্ছেন এবং নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দিয়েছেন এ বিষয়টি আলোচনা করার জন্য। তখনও আমাদের সরকারের টনক নড়ে না।
ফখরুল বলেন, এখন মনে হচ্ছে টনক নড়ছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতেও সারা দেশে আমরা যে মানববন্ধন কর্মসূচি দিয়েছিলাম- তা অনেক জেলায় করতে দেয়া হয়নি। আমি জিজ্ঞাসা করতে চাই, এত ভয় পান কেন? ভয় পান এজন্য যে, বিএনপি যদি রাজপথে নেমে আসে, বিএনপি যদি সামনে আসে, বিএনপি যদি নির্বাচনে যায় তাহলে আপনাদের অস্তিত্ব থাকবে না। সেই কারণে আপনারা বিএনপিকে এত ভয় পান।
আমরা বলতে চাই, আগামী নির্বাচন হবে অবশ্যই সহায়ক সরকারের অধীনে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, সেই নির্বাচন অবশ্যই সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।
দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীর পরিচালনায় এতে বক্তব্য দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, মহানগর নেতা মুন্সি বজলুল বাছিত আনজু, অংগ সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম নীরব, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, রাজীব আহসান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা নিতাই রায় চৌধুরী, মিজানুর রহমান মিনু, আতাউর রহমান ঢালী, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরফত আলী সপু, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অধ্যাপক ওবায়দুল ইসলাম, তাইফুল ইসলাম টিপু, কাজী আবুল বাশার, আহসানউল্লাহ হাসান, ইউনুস মৃধা, মো. মোহন, হেলেন জেরিন খান,সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, খন্দকার মারুফ হোসেনসহ কয়েকশ নেতাকর্মী।