শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪ ২২শে আষাঢ় ১৪৩১
Smoking
 
ভুটান থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশ: ১০:৩৫ am ২০-০৪-২০১৭ হালনাগাদ: ১০:৪১ am ২০-০৪-২০১৭
 
 
 


ভুটানে অটিজম বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন উপলক্ষে তিনদিনের সরকারি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী দ্রুক এয়ারের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।

ফ্লাইটটি  সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে ভুটানের প্যারো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে আসে। ভুটানের প্রধানমন্ত্রী তেসেরিং তোবগে এবং থিম্পুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিষ্ণু রায় চৌধুরী তাকে বিদায় জানান।

বিমানবন্দরে আসার পথে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তার দুপাশে দাড়িয়ে দুদেশের পতাকা নেড়ে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানায়।

মঙ্গলবার তিনদিনের সফরে ভুটান যান শেখ হাসিনা।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী অটিজম এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ভাষণ দেন। তিনি ভুটানের রাজা জিগমে খেসার ন্যামগেল ওয়াংচুক ও প্রধানমন্ত্রী তেসেরিং তোবগের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বুধবার সকালে শেখ হাসিনা গেস্ট অব অনার হিসেবে ‘অটিজম ও নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার’ শীর্ষক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

বিকালে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে অটিজম ও অন্যান্য নিউরো-ডেভেলপমেন্ট সমস্যার যথাযথ সমাধানে সক্ষমতা অর্জন শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন।

বাংলাদেশ ও ভুটানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। এতে কারিগরি সহায়তা ধেয় সূচনা ফাউন্ডেশন (সাবেক গ্লোবাল অটিজম), অ্যাবিলিটি ভুটান সোসাইটি (এবিএস) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া কার্যালয়।

সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল- ‘এএসডি ও অন্যান্য নিউরোডেভেলপমেন্টাল সমস্যায় ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজের জন্য কার্যকর ও টেকসই বহুমুখী কর্মসূচি’।

সম্মেলনে উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠান ছাড়াও কয়েকটি কারিগরি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি নেতৃবৃন্দ, নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞরা সম্মেলনে অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে কৌশলগত দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

সফরে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার ন্যামগেল ওয়াংচুক ও রানী জেটসান পেমার সঙ্গে ভুটানের রাজপ্রসাদে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাত করেন।

তেসেরিং তোবগে এবং শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পূর্বে দু’দেশের মধ্যে জলবিদ্যুৎ, যোগাযোগ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বিষয়ে ছয়টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। শেখ হাসিনা হেজোতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করবেন।

প্রধানমন্ত্রী তার সম্মানে ভুটানের রাজা ও রানীর দেয়া এক ব্যক্তিগত ভোজেও যোগ দেন। 

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT