মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪ ৪ঠা আষাঢ় ১৪৩১
Smoking
 
মোদির ব্যাপক প্রশংসা করে ট্রাম্প
প্রকাশ: ১২:৩০ pm ১৪-১১-২০১৭ হালনাগাদ: ০২:৩৭ pm ১৪-১১-২০১৭
 
 
 


ফিলিপাইনের ম্যানিলায় সোমবার (১৪ নভেম্বর) আসিয়ান-ভারত সম্মেলনের পার্শ্বমঞ্চে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় বেইজিংয়ের প্রভাবের মোকাবিলা করতে চার দেশের বৈঠক হয়েছে। ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই অক্ষের অন্য দুই বিন্দুতে রয়েছে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া।

এদিকে বেইজিংয়ের চিন্তা বাড়িয়ে ভারত-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরো মজবুত করার উদ্দেশ্যে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের খবর অনুযায়ী, শুধু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কই নয় পুরো অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা করেছেন দুই রাষ্ট্রনেতা।

বৈঠকের পরে মোদি বলেছেন, "প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারত সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করেন। নানা মঞ্চে তিনি সে কথা বলেছেন। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ক্রমশ বিস্তৃত হয়ে উঠছে। শুধুমাত্র ভারতের স্বার্থকে ছাপিয়ে সামগ্রিক ভাবে এশিয়ার ভবিষ্যৎ এবং বিশ্ব মানবতার স্বার্থে এই জোট সক্রিয় থাকবে।" অপরদিকে মোদির ব্যাপক প্রশংসা করে ট্রাম্পের বলেন, "ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার হোয়াইট হাউসেও বৈঠক হয়েছে। উনি আমাদের বন্ধু হয়ে উঠেছেন। মোদি দারুণ কাজ করছেন। আমরা ভবিষ্যতেও এক সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক।"

পরে প্রবাসী ভারতীয়দের এক অনুষ্ঠানে মোদি বলেন, "ভারত নেওয়ার চেয়ে বেশি দিতে চায়। ভারতীয়েরা কখরোই ছিনিয়ে নেওয়ায় বিশ্বাস করেননি।" নাম উল্লেখ না করে তিনি চীনকেই বার্তা দিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কূটনীতিকদের মতে, ট্রাম্পের মোদী সম্পর্কে উচ্ছ্বাসের পিছনে রয়েছে বেইজিংকে চাপে রাখার কৌশল।

চীনের যোগাযোগ প্রকল্প 'ওবর'-এর পাল্টা কৌশল তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং জাপানকে নিয়ে গোষ্ঠী তৈরি করেছিল দু’বছর আগেই। তাতে অস্ট্রেলিয়া যোগ দেওয়ায় ভবিষ্যতে সাগর-বাণিজ্যের লড়াইয়ে আরও এক ধাপ এগোনো গেল বলেই মনে করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে সোমবার চর্তুদেশীয় বৈঠকের পরে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় সহযোগিতা আন্তর্জাতিক মঞ্চে সিলমোহরও পেয়ে গিয়েছে।

দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের আগ্রাসী আচরণ নিয়ে বারাক ওবামার শাসনকাল থেকেই কড়া মনোভাব নিয়ে চলছিল যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে চীনের বিরুদ্ধে অবস্থান আরও কড়া করেছে হোয়াইট হাউস। সম্প্রতি চীন সফরে গিয়ে ট্রাম্প সে দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঝালিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু সমান্তরাল ভাবে চীনকে চাপে রাখাটাও আমেরিকার অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে।

সূত্র: আনন্দবাজার

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT