শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪ ১৫ই আষাঢ় ১৪৩১
Smoking
 
রাখাইন প্রদেশে সহিংসতা বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ
প্রকাশ: ০৪:৪৭ pm ১৩-০৯-২০১৭ হালনাগাদ: ০৪:৫০ pm ১৩-০৯-২০১৭
 
 
 


হোয়াইট হাউজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে, মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে যে সহিংসতা চলছে সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ বলছে, "গত ২৫শে আগস্ট মিয়ানমারের নিরাপত্তা পোস্টগুলোতে হামলার জের ধরে কমপক্ষে তিন লাখ মানুষ বাসস্থান ছেড়ে পালিয়ে গেছে। আমরা আবারো নিন্দা জানাচ্ছি এইসব হামলার যা সহিংসতায় রূপ নিয়েছে।" "রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও অন্যান্য সংখ্যালঘু মানুষদের তাদের আবাসসস্থল থেকে উচ্ছেদ হওয়া ও তাদের ওপর নির্যাতন এটাই প্রমাণ করে যে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারছে না"। এছাড়া হত্যা, নির্যাতন, গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া ও ধর্ষণের মতো মানবাধিকার লংঘনের যে অভিযোগ উঠেছে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে তাতেও শঙ্কা প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ। মিয়ানমার সরকার যেন আ ইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সহিংসতা বন্ধ করে সাধারণ মানুষের সুরক্ষা দেয়া সে আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যেভাবে মানবিক সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার সে উদ্যোগেরও প্রশংসা করেছে হোয়াইট হাউজ। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সহিংসতার শিকার লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলিমের সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার ফলে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে আজ আরো পরের দিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এক জরুরী আলোচনা হবে। এই বৈঠকের একদিন আগেই জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান বলেছেন, জাতিগত শুদ্ধি অভিযান বলতে যা বোঝায় - রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাদের আক্রমণে ঠিক তাই ঘটছে। রাখাইনে সেনাবাহিনীর এ অভিযানকে 'পাঠ্যবইয়ে জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের অন্যতম উদাহরণ' হিসেবে বর্ণনা করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জেইদ রাদআল-হুসেইন। গত ২৫শে অাগস্ট থেকে শুরু হওয়া সহিংসতায় এ পর্যন্ত প্রায় চার লাখের মতো রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। সাধারণের ওপর আক্রমণের অভিযোগ অস্বীকার করে মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী বলছে তারা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। বাংলাদেশে গত তিন সপ্তাহে যে প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ঢুকেছে, তাদের ৬০ শতাংশই শিশু, অর্থাৎ তাদের বয়স ১৮ বছরের কম। আর তাদের এগারোশোরও বেশি শিশুর সাথে বাবা মা নেই। জাতিসংঘ শিশু তহবিল বা ইউনিসেফ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এই পরিসংখ্যান দিয়েছে। তারা বলছে, এত বিপুল সংখ্যায় শিশু শরণার্থী ত্রাণ কর্মীদের জন্য বিশেষ চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। ইউনিসেফ বলছে, শরণার্থী শিবিরে থাকা দুই লাখেরও বেশি শিশু স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে এবং তাদের জন্য জরুরি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। সূত্র: বিবিসি বাংলা

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT