মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জাতির মেধাবী সন্তানদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের বেদীতে ফুল দেন তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, জাতীয়বাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা-জাসাস’র সভাপতি এম এ মালেক, সাধারণ সম্পাদক মনির খান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক একরামুল হাসান, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসউইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।
শ্রদ্ধা জানানোর পর মির্জা ফখরুর ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য, যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, সেই স্বপ্ন আজও পূরণ হয়নি। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর এসে আমাদের গণতন্ত্র অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। আমরা মুক্ত গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি।
স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় মুক্ত চিন্তার চর্চা করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একাত্তরে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে, যারা মুক্ত চিন্তার মানুষগুলোকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছে এবং যারা সরাসরি স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে তাদের বিচার হওয়া উচিত। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই যেন এ বিচার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত না হয়।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় গুলশান বাসা থেকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা দেন খালেদা জিয়া। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলের নেতাসহ রাষ্ট্রপ্রটোকল শেষ হওয়ার পর সকাল সাড়ে ১০টায় সংসদের বাইরে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্মৃতিসৌধের বেদীতে ফুল দেন। এরপর সকাল সোয়া ১১টায় গুলশানের বাসায় পৌঁছান তিনি।