ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সরকার ঘোষণা দিলেও বাজারে চালের দাম কমেনি বলে দাবি করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘সরকারই সিন্ডিকেট করে চালের বাজার অস্থিতিশীল করেছে।’
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা। রিজভী আহমেদ আরো বলেন, ১০ টাকা কেজি চালের নামে সারা দেশে লুটপাট চালিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। চালের দাম নিয়ে মন্ত্রীদের বক্তব্য ডাহা চাপাবাজিতে পরিণত হয়েছে, যার সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল নেই।
‘দুদিন আগে মন্ত্রীদের সঙ্গে চাল ব্যবসায়ীদের বৈঠকের সময় ব্যবসায়ীরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছিলেন, কোথায় এক কোটি টন চাল আছে দেখান। সে সময় মন্ত্রীরা এর কোনো সদুত্তর দিতে পারা দূরে থাক, অসহায়ের মতো নিরুত্তর ছিলেন। এই ভোটারবিহীন সরকারের দম্ভ আর ধমক ছাড়া জনগণকে দেওয়ার কিছুই নেই।’
বিএনপি নেতা আরো বলেন, এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে খোলাবাজারে ওএমএসের মোটা সেদ্ধ চালের পরিবর্তে আতপ চাল দেওয়া হচ্ছে। আতপ চালের বিক্রি বাড়াতে ডিলাররা আটা ক্রেতাদের জোর করে আতপ চাল নিতে বাধ্য করছেন। ক্রেতারা আটা চাইলে সঙ্গে আতপ চালও দিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং তা নিতেও বাধ্য করা হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। আতপ চাল না কিনলে আটা মিলছে না, যা অত্যন্ত অমানবিক ও গরিব মানুষদের সঙ্গে জোর-জবরদস্তির শামিল।
রিজভী আরো বলেন, অন্যদিকে খোলাবাজারে বিক্রির চালের দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিতে ১৫ টাকা। সেখানে চালের দাম ১৫ টাকা কেজি থেকে বাড়িয়ে একলাফে ৩০ টাকা করা হয়েছে, তাও আবার সেটি আতপ চাল, যা দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী ভাত হিসেবে খেতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অমানবিক। দুর্ভিক্ষের ছায়া এখন সারা দেশের ওপর বিস্তার লাভ করেছে।
মিয়ানমার থেকে সরকারের চাল কেনার সমালোচনা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, যেখানে বিভিন্ন দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে, সেখানে চালের জন্য তাদের কাছে ধরনা দেওয়া রোহিঙ্গা সংকটকে আরো দীর্ঘায়িত করবে। দুর্বল ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই এমনটি করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।