বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, বিনা ভোটের সরকার সামান্য মিছিল কিংবা বিক্ষোভ দেখলেই ভয় পায়, আঁতকে ওঠে। গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত সাতটি সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে রিজভী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অত্যন্ত ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত। তিনি বলেন, রাজধানীর সাতটি কলেজকে ঢাবির অধীনে নেওয়া হয়েছে এক বছর। বছর পেরিয়ে গেলেও পরীক্ষার খবর নেই। অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তাদের সহপাঠীরা মাস্টার্স পাস করে যাচ্ছে অথচ তাদের জীবন ধ্বংসের মুখে। আর তারা যখন পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি ঘোষণার দাবিতে সমাবেশ করতে গেল তখন তাদের ওপর গুলি চালানো হল। উল্টো তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা প্রদান ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি নজিরবিহীন এবং দেশকে অন্ধকারের গুহায় ঠেলে দেওয়ার দৃষ্টান্ত। সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বর্তমান সরকার পরিকল্পিতভাবে গোটা শিক্ষাব্যবস্থাকে নিয়ে ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে। এখন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাদের অস্ত্রবাজি ও দখলবাজিতে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা মুমূর্ষু হয়ে পড়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যক্কারজনক পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে রিজভী অবিলম্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। একই সঙ্গে তাদের সব ন্যায্য দাবি মেনে নিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানান। পাশাপাশি আটককৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি ও সিদ্দিকুর রহমানসহ গুরুতর আহতদের সুচিকিত্সার ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানান বিএনপির এই সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সহদফতর সম্পাদক মুনীর হোসেন প্রমুখ।