২৯শে এপ্রিল শনিবার নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে বিপুলসংখ্যক প্রবাসী এই শিল্পীর জানাজায় অংশ নেন।
ম্যানহাটানের মাউন্ট সিনাই সেন্ট লিউক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার এই আবৃত্তিকারের মৃত্যু হয়। পেশায় স্থপতি কাজী আরিফের বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
নিউ ইয়র্ক সময় রোববার রাত ১১টায় এমিরেটস এর একটি ফ্লাইটে কাজী আরিফের মরদেহ দেশে পাঠানো হবে। ঢাকায় কফিন পৌঁছাবে মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৯টায়।
রাষ্ট্রীয় খরচে কাজী আরিফের মরদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হবে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনসহ প্রবাসীদের অনেকেই এসেছিলেন কাজী আরিফের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে।
জানাজার আগে কাজী আরিফের ভগ্নিপতি আব্দুল করিম সবার কাছে দোয়া চেয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। কাজী আরিফের মেয়ে অনুসূয়াও উপস্থিত ছিলেন এ সময়।
জানাজার পর কাজী আরিফের কফিন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সামনে রাখা হলে সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, নির্বাহী সদস্য শাহানারা রহমান, খোরশেদ খন্দকার, উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান; সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ; অভিনেতা জামালউদ্দিন হোসেন; চলচ্চিত্র নির্মাতা কবীর আনোয়ার; বাংলাদেশ আবৃত্তি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ।
যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ড. এম এ বাতেন ও আব্দুল মুকিত চৌধুরী, সেক্টর কমান্ডার ফোরামের যুক্তরাষ্ট্র ইউনিটের আহ্বায়ক রাশেদ আহমেদ, যুগ্ম আহবায়ক লাবলু আনসার ও সদস্য সচিব রেজাউল বারী এবং প্রবাসী আবৃত্তিশিল্পী, নাট্যকর্মী, সাংস্কৃতিক সংগঠক, নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা পত্রিকাগুলোর সাংবাদিকরাও ফুল দিয়ে কাজী আরিফের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
কাজী আরিফের জন্ম ১৯৫২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর, রাজবাড়ী সদরের কাজীকান্দা গ্রামে। বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম শহরে। পড়াশোনা, রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্য এসব কিছুরই হাতেখড়ি হয় সেখানে। আবৃত্তির পাশাপাশি লেখালেখিও করতেন তিনি, সক্রিয় ছিলেন সাংস্কৃতিক আন্দোলনে।
হালনাগাদ: ০১:০৬ pm ৩০-০৪-২০১৭