রাজধানীর ব্যস্ত জীবনে অনেকেই অনলাইনে কেনাকাটায় অভিজ্ঞ, তবে গ্রোসারী অইটেম ছাড়া সব প্রডাক্ট এর বিষয়ে রয়েছে ক্রেতাদের অভিযোগ।রয়েছে সময়মত পণ্য হাতে না পাওয়ার অভিজ্ঞতা।
একজন ক্রেতা অভিযোগ করেন একটা পণ্য অর্ডার করলে ৩-৪ দিন লেগে যায় হাতে পেতে আবার পণ্যের সাইজও অনেক সময় ঠিক থাকে না।
আরেক জন ক্রেতা বলেন আমি দারাজ গত ১৬ আগস্ট একটা প্রডাক্ট অর্ডার করি আজ অবদি পাই নি। তাদের কাস্টমার কেয়ার এর সাথে অনেকবার যোগাযোগ করে কোনো সুনিদিষ্ট সমাধান পাইনি বা তাঁরা দিতে পারবে না এটাও বলছে না।
এরকম আরেকজন ক্রেতা বলেন, আমি একটা বেল্ট এর অর্ডার করেছিলাম কিন্তু পন্যের ছবির সাথে বাস্তবিক মিল খুবিই কম আবার কোয়ালিটি দিক দিয়ে তেমন ভাল হচ্ছে না।
ব্যবসায়ীদের দাবী পণ্যের মান নিশ্চিত করে তবেই তাঁরা ডেলিভারীতে পাঠান।কোনো ক্রুটি বা পরিবর্তনের জন্য সময় দেয়া হয় প্রতিষ্ঠান ভেদে ২৪-৭২ ঘন্টা।আবার কাস্টমার ধরে রাখতে সারা বছর কোনো না কোনো অফার দেওয়া থাকে ওয়েব সাইট এ।
একজন ই-কর্মাস কর্ণধার বলেন, আমাদের বছর জুড়ে চলে নানা ধরণের অফার আর ওই সময় ক্রেতারা ক্রয় করে প্রচুর তাই ডেলিভারীতে আমাদের একটু বেগ পেতে হয়।
ই-কর্মাসের সাথে সংশ্লিষ্টরা মনে এই খাতটাতে অর্ন্তজাতিক মানে করে তোলার জন্য সুনিদিষ্ট নিয়মকানুন হওয়া প্রয়োজন।এই সেক্টর অনেক ডেভেলপ করার মত অবস্থায় আছে। তাই এর দিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন।
বর্তমানে এই খাতে বার্ষিক টানওভার প্রায় ৪০০-৫০০ কোটি টাকা, তবে প্রতি বছর এই হার বাড়ছে তিন গুন করে।