আজ ২ এপ্রিল রোববার দশম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। অটিজম বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি ও তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বকীয়তা ও আত্মপ্রত্যয়ের পথে’।
একসময় অটিস্টিক শিশুদের প্রতি সমাজে নেতিবাচক ধারণা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ২০০৭ সালে এবিষয়ে দেশে কাজ শুরু করেন।
সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের উদ্যোগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ‘অটিজম আক্রান্ত শিশু ও তাদের পরিবারের জন্য স্বাস্থ্যসেবা এবং আর্থ-সামাজিক সহায়তা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রস্তাব গৃহীত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাকে এক্সিলেন্স ইন পাবলিক হেলথ অ্যাওয়ার্ডে এ ভূষিত করে। সম্প্রতি সায়মা ওয়াজেদ ইউনেস্কো কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘ইউনেস্কো-আমির জাবের আল-আহমদ আল-সাবাহ পুরস্কার’ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক জুরি বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।
সায়মা ওয়াজেদ বাংলাদেশে অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন। তার পরামর্শে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। অটিস্টিক শিশু শনাক্তকরণ, সেবা প্রদান এবং তাদের মা-বাবা বা যত্নদানকারীদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ প্রদানের লক্ষ্যে ২০১০ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘সিনাক’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে এটিকে ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি অ্যান্ড অটিজমে রূপান্তর করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত মূল কর্মসূচি রোববার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে বিএসএমএমইউ ক্যাম্পাসে অটিজম শিশুদের নিয়ে এক চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ শিশু একাডেমি এ উপলক্ষে রোববার বিকেলে পৃথক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- অটিজম শিশুদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, যেখানে শিশুরা নৃত্য ও গান পরিবেশন এবং আবৃত্তি করবে।