আবৃত্তি শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা কাজী আরিফ লাইফ সাপোর্টে । শুক্রবার(২৮ এপ্রিল) রাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে সাপোর্টে রাখা হয়।কাজী আরিফের মেয়ে আনুশকা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাজী আরিফের এ খবর শোনার পর হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন নিউইয়র্কে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাংষ্কৃতিক কর্মীরা।দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ কাজী আরিফের হার্টের বাল্ব অকেজো হলে তাকে ম্যানহাটনের মাউন্ট সিনাই সেন্ট লিওক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত মঙ্গলবার বাল্ব পুনঃস্থাপন এবং আর্টারিতে বাইপাস সার্জারি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে নেয়া হয়। এর আগে ২০১৫ সালের ১৩ নভেম্বর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।পরে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। কাজী আরিফের জন্ম ৩১ অক্টোবর ১৯৫২ সালে ফরিদপুর রাজবাড়ীতে। কিন্তু বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম শহরে। এখানেই তার পড়াশোনা, রাজনীতি, শিল্প-সাহিত্য এসব কিছুরই হাতেখড়ি হয়। তিনি একাধারে একজনসাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ত্ব, আবৃত্তিকার, লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক। এ ছাড়া তিনি ১৯৭১ সালে ‘১ নম্বর সেক্টর’ এর মেজর রফিকের কমান্ডে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মেজর রফিকের কমান্ডে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এরপর যুদ্ধ শেষে বুয়েটে লেখাপড়া শুরু করেন আর সাথে সমান তালে এগিয়ে যেতে থাকে তার শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি।