মহাপরিকল্পনা পরিপন্থী কোনো ভূমি ব্যবহার করলে জেল-জরিমানার বিধান রেখে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা আরডিএ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (১৭ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৭’ এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় সামরিক শাসনামলে জারিকৃত ‘রাজশাহী টাউন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অর্ডিনেন্স-১৯৭৬’ বাংলায় করে মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, অর্ডিন্যান্সের অল্প পরিবর্তন করে আপডেট করা হয়েছে।
‘নতুন যে জিনিসটি আনা হয়েছে, সেটা হলো জলাধার আইনের বিষয়টা ওই সময়ে ছিল না। জলাধার আইনের প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনা এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।’
জলাধার অর্থাৎ নদী, খাল, বিল, ঝর্ণা বা জলাশয় হিসেবে মহাপরিকল্পনায় চিহ্নিত বা সরকারি সংস্থা বা স্থানীয় কর্তৃক সরকারি গেজেট বা প্রজ্ঞাপন দ্বারা বন্যা প্রবাহ এলাকা হিসেবে ঘোষিত কোনো জায়গা এবং বৃষ্টির পানি ধারণ করে এমন কোনো ভূমি এর অন্তর্ভুক্ত হবে। এই সংঙ্গা জলাধার আইন থেকে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
‘আর একটি বিষয় আনা হয়েছে, মাস্টার প্ল্যান বা মহাপরিকল্পনা। বিষয়টি পুরনো আইনে ছিল না। কর্তৃপক্ষ যেভাবে আছে সেভাবে কর্তৃপক্ষ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।’
মহাপরিকল্পনা পরিপন্থী কোনো ভূমি ব্যবহার করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব।
‘যদি কোনো ব্যক্তি মহাপরিকল্পনায় চিহ্নিত বা উল্লিখিত উদ্দেশ্য ব্যতিত অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ভূমি ব্যবহার করেন, তাহলে একটি অপরাধ হবে। এজন্য এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।’
এ শাস্তির বিধান নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব।
‘জলাধার খনন বা ভরাট, পাহাড় টিলা বা পাহাড় কাটলে মালিককে নির্দেশ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে পারবে (কর্তৃপক্ষ)। লঙ্ঘন করলে অনধিক এক বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড দিতে পারবে।’
নিচু জমি ভরাট করা, পানি প্রবাহে বাধা দেওয়ায় একই শাস্তি হবে বলে জানান সচিব।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব বলেন, মহাপরিকল্পনা কীভাবে প্রণয়ণ করা হবে, মহাপরিকল্পনা কী হবে তা উল্লেখ রয়েছে। অর্থাৎ শহরটা মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী পরিচালিত হবে। নতুন আইনে আয়তন বাড়ানোর বিষয়টি আনা হয়নি, সিটি করপোরেশন এলাকায় কর্তৃপক্ষের আওতায় থাকবে।