৯ ঘণ্টা পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) লাইনচ্যুত ট্রেনের ইঞ্জিন ও বগিগুলো উদ্ধারের পর দুপুর ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে বুধবার (৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টার দিকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পাড়ে ভূঞাপুর উপজেলার পাথাইকান্দি এলাকায় লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। ফলে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
রাত থেকে ট্রেন বন্ধ থাকায় ঢাকাগামী আটটি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। এদিকে এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে বিভাগ। কমিটিকে তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
সরেজমিন জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা থেকে উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। প্রায় তিনঘণ্টা পর দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনটি উদ্ধার কাজ শেষ করে।
অপরদিকে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমে ধুমকেতু এক্সপ্রেস, জামতৈল স্টেশনে সুন্দরবন এক্সপ্রেস, উল্লাপাড়া স্টেশনে একতা, সিরাজগঞ্জ বাজারে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস, ভাঙ্গুড়া স্টেশনে নীল সাগর, চাটমোহর স্টেশনে সিল্কসিটি ও সরৎনগর স্টেশনে ঈশ্বরদী লোকালসহ মোট আটটি যাত্রীবাহী ট্রেন আটকা পড়ে। রাত থেকে প্রায় ৯ ঘণ্টা আটকে থাকায় এসব ট্রেনের যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়।
পশ্চিম অঞ্চল রেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) খায়রুল আলম জানান, লাইনচ্যুত হওয়া লালমনি এক্সপ্রেসের দু’টি বগি ও মূল ইঞ্জিন উদ্ধার করা হলে দুপুর ১২টার পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আছাবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার (বুকিং) রেজাউল করিম জানান, রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা লালমনিরহাটগামী লালমনি এক্সপ্রেস বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড়ে ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এরপর থেকে উত্তরবঙ্গের হয়ে ঢাকার চলাচলকারী সব ধরনের ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর ১২টার পর দুর্ঘটনায় কবলিত ট্রেনটি উদ্ধার করার পর ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।