সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহন শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ককটেল বিস্ফোরণ, মারধর ও ব্যালটে সিল মারার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা সিটি কলেজের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।
তবে কেন্দ্রটিতে পুরুষদের ভোট গ্রহন স্থগিত করলেও নারী ভোটারদের ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাড়িয়ে পৃথকভাবে পুরুষ ও নারীরা ভোট দিচ্ছিলেন। বেলা ১১টার দিকে ৫-৭ জনের একটি দল ভোটার বেশে কেন্দ্রের বুথে ঢুকে পড়েন। এ সময় একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
কেন্দ্রের কয়েকজন পোলিং এজেন্ট জানান, সন্ত্রাসীরা জোর করে ব্যালটে সিল দিতে থাকেন। তারা বাধা দিলে তাদের মারধর করা হয়। এ ঘটনার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
এদিকে এ ঘটনার কিছুক্ষনের মধ্যে রিটার্নিং অফিসার রকিব উদ্দিন মন্ডল ঘটনাস্থলে এসে পুরুষ ভোটারদের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেন। তবে নারীদের ভোট গ্রহণ চালু রাখা হয়।
এসময় বিএনপির মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ওই কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
জানতে চাইলে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. ফরিদ আহমেদ জানান, ‘ভোটগ্রহন আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করছি, ভোট গ্রহন শুরু করা সম্ভব হলে পরবর্তীতে জানানো হবে।’
জোরপূর্বক ব্যালটে সিল মারার ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের মারধরের শিকার হয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী কাজী মাহবুবুর রহমানের পোলিং এজেন্ট মো. ফরহাদ।
তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই একদল ছেলে বুথে ঢুকে ব্যালটে সিল মারতে শুরু করেন। প্রতিবাদ জানালে তারা আমাকে মারধর করতে থাকে। আঘাতে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে।’
মারধরের শিকার ৬৩ বছরের শামসুদ্দিন জানান, তার জামা কাপড় ছিড়ে ফেলা হয়েছে। নিজেকে ঘড়ি মার্কার পোলিং আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ‘বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রে প্রবেশ করে। তারা মিষ্টি কুমড়ার সমর্থক। আমি বললাম, ভালো নির্বাচন হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে তোমরা এমন করছো কেন। তাদের থামাতে গেলে তারা বেঞ্চের পায়া দিয়ে আমাকে পিটিয়ে জখম করে।,
এ সময় হাত ও শরীরের বিভিন্নস্থান সাংবাদিকদের দেখান তিনি।