রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Smoking
 
এক ঘণ্টায় খালেদার বিরুদ্ধে দুই গ্রেফতারি পরোয়ানা
প্রকাশ: ০১:১০ pm ১২-১০-২০১৭ হালনাগাদ: ০১:১২ pm ১২-১০-২০১৭
 
 
 


মানহানি মামলার পর একই দিনে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায়ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে মানহানির অভিযোগে করা মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি করেন ঢাকা মহানগর হাকিম নূর নবী।

তার কিছু পরেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায়ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আক্তারুজ্জামান।

মানহানি মামলার বাদী এ বি সিদ্দিক এবং জিয়ার অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ৯ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নোয়াবাজার এলাকায় বাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিক স্বীকৃত স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে একটি মানহানির মামলা করেন।

ওই দিন ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলা তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলায় খালেদা জিয়া এবং তাঁর স্বামী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে আসামি করা হয়।

চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ বি এম মশিউর রহমান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার নথি থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলায় খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

কুমিল্লায় পেট্রলবোমা হামলা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চৌদ্দগ্রামের নোয়াবাজার এলাকায় ইউনিক পরিবহনের একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলায় আটজন নিহত হন। আহত হন আরো ২০ জন।

এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সংসদ সদস্য ডা. আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি করে ৫৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ওই থানায় মামলা করে পুলিশ। সেই মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলটির শীর্ষস্থানীয় ছয় নেতাকে হুকুমের আসামি করা হয়।

চলতি বছরের ৬ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম।

 
 

আরও খবর

Daraz
 
 
 
 
 
 
 
 
©ambalanews24.com | Developed & Maintenance by AmbalaIT