মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের মোট নম্বর থেকে ৫ কেটে মেধাতালিকা তৈরি করতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার চেম্বার আদালতের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী হাইকোর্টের আদেশের ওপর এ স্থগিতাদেশ দেন।
আগামী ৩ অক্টোবর এ বিষয়ে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
এ আদেশের পর দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের নম্বর কাটতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
গত মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সরকারি আদেশ স্থগিত করেছিলেন।
আজ আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে গত মাসে করা এক রিট আবেদনে বলা হয়, ২১ আগস্টের পত্রিকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এ বিজ্ঞপ্তির ৬ নম্বর কলামে বলা হয়, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস/বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় আগের বছর এইচএসসি উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের সর্বমোট নম্বর থেকে ৫ নম্বর কর্তন করে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে। অন্যদের কাটা হবে না। এ সিদ্ধান্ত বৈষম্যমূলক। এ সিদ্ধান্ত সংবিধানের ৭, ২৬, ২৭, ২৮ ও ৩১ অনুচ্ছেদ পরিপন্থী।
রিট আবেদনে আরো বলা হয়, জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এর চিকিৎসাসেবা ও স্বাস্থ্যকৌশল চ্যাপ্টারের ১ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, ‘মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া অব্যাহত থাকবে। ভর্তি পরীক্ষায় কোনো প্রার্থী দুই বছরের জন্য অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।’ সুতরাং সরকার আগের বছর পাস করাদের থেকে ৫ নম্বর কেটে নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা শিক্ষানীতির পরিপন্থী।