পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে গিয়ে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখে এসেছেন তার ভাই-বোনসহ পরিবারের চার সদস্য।
খালেদা জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও তাদের ছেলে অভিক এস্কান্দার শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে কারা ফটকে গিয়ে দেখা করার অনুমতি চান।
কারা অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তাদের চারজনকে ভেতরে গিয়ে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়।
এরপর বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে কারাগারের ফটক দিয়ে তাদের গাড়ি বেরিয়ে যেতে দেখেন সাংবাদিকরা।
সেখানে দায়িত্বরত সূত্রাপুর থানার পরির্শক (অপারেশন) শেখ আমিনুল বাশার বলেন, “উনারা দেখা করে চকবাজার হয়ে চলে গেছেন।”
দুপুরের পর খালেদা জিয়ার স্বজনরা কারাগারের সামনে পৌঁছালে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি সাংবাদিকরা।
তাদের সঙ্গে থাকা এক বিএনপি নেতা তখন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বেরিয়ে আসার পর হয়ত শামীম এস্কান্দার কথা বলতে পারেন।
কিন্তু তারা দেখা করে চলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের কারাফটক থেকে একশ গজ দূরে ব্যারিকেডেই আটকে থাকতে হয়।
ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত বৃহস্পতিবার জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে সাবেক বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়। তার ছেলে তারেক রহমানসহ অন্য ৫ আসামিকে দেওয়া হয় ১০ বছরের সাজা।
রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
নাজিমউদ্দিন রোড থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার দুই বছর আগে কেরানীগঞ্জে সরিয়ে নেওয়ায় পুরনো কারাগারে এখন খালেদা জিয়াই একমাত্র বন্দি।
কারা কর্তৃপক্ষ এখন ভবনটিকে বলছে, ‘বিশেষ’ কারাগার। বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার আগে থেকেই কারাগার ঘিরে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। কারাগারের প্রধান ফটক থেকে দুই পাশে একশ গজ দূরত্বে নাজিমুদ্দিন রোডে বসানো হয়েছে ব্যারিকেড।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বিএনপির কয়েক বিএনপির দুই নারী কর্মী এক ঝুড়ি ফল নিয়ে তাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চান। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় তাদের ফিরে যেতে হয়।