টেলিভিশন ক্যামেরায় ‘মুখ দেখানো’ নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন আইনজীবীদের দুটি পক্ষ।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এদিন আদালতে জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় জামিন নিতে হাজির হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এ ব্যাপারে বিচারিক আদালতের আইনজীবী হান্নান ভূইঞা বলেন, ক্যামেরার সামনে আসা নিয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলমকে লাথি মারেন সুপ্রিম কোর্টের জুনিয়র আইনজীবী মির্জা আল মাহমুদ। এতে খোরশেদ আলম আহত হন। তাঁর সমর্থনে আইনজীবীরা মির্জা আল মাহমুদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে যান। পরে সিনিয়র আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি মিটমাট হয়।
ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার আনিসুর রহমান জানান, বিএনপির আইনজীবীদের হঠাৎ হাতাহাতি শুরু হলে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
হাতাহাতির সময় উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, টিভি ক্যামেরার সামনে কথা বলা নিয়ে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছে। বিষয়টা খুব দুঃখজনক। এটি সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়। ফোরামের কোনো বিষয় না। পরক্ষণেই তাঁরা উভয়ে মিটমাট করে ফেলেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালতের বাইরে বিভিন্ন টেলিভিশনের সাংবাদিকরা সরাসরি সম্প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে খবর আসে খালেদা জিয়ার জামিনের। এরপরই টিভি ক্যামরার সামনে আসা নিয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন আইনজীবীরা। এ সময় অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলমের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের জুনিয়র আইনজীবী মির্জা আল মাহমুদের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে খোরশেদ আলমকে লাথি মারেন মির্জা আল মাহমুদ। এরপর শুরু হয় হাতাহাতি। এ সময় শারীরিকভাবে একে অপরকে লাঞ্ছিত করতে থাকেন তাঁরা। পরে ঢাকা বারের আইনজীবীরা মির্জা আল মাহমুদের ওপর চড়াও হন। এতে তাঁর শার্ট ছিঁড়ে যায়। পরে সিনিয়র আইনজীবীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।