চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানের কয়েক জায়গায় পাহাড় ধসে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্য ৪ জন সেনাসদস্য রয়েছে। এ ঘটনায় আরও ৬ জন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৩ জুন) ভোরে শহরের কালাঘাটাসহ কয়েকটি এলাকায় এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে।ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। নিহত সেনা কর্মকর্তারা হলেন- মেজর মাহফুজ ও ক্যাপ্টেন তানভীর। তারা রাঙামাটির মানিকছড়ি সেনা রিজিয়নে কর্মরত ছিলেন। নিহত অন্য দুজন হলেন কর্পোরাল আজিজ, সৈনিক শাহিন।তারা মানিকছড়ি ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। সোমবার চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও বান্দরবানে টানা বর্ষণ শুরু হয়। এতে পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে ধসে পড়ে। ধসে পড়া মাটির নিচে চাপা পড়ে এরা মারা যায়।
চট্টগ্রামে নিহতরা হলেন- ছনবুনিয়া উপজাতিপাড়ার গৃহবধূ মোকাইং কেয়াং (৫০), একই পরিবারের দুই শিশু কেউচা কেয়াং (১০), মেমাউ কেয়াং (১৩) ও ধোপাছড়ি ইউনিয়নে আসগর আলীর শিশুকন্যা মাহিয়া। ধোপাছড়ি ইউনিয়নে পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু ইউছুপ চৌধুরী জানান, পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী আসগর আলীর কাঁচা ঘরের ওপর মাটি ধসে পড়ে। এ ঘটনায় তার শিশুকন্যা মাহিয়া মাটির নিচে চাপা পড়ে মারা যায়। এ ছাড়া ছনবুনিয়া উপজাতিপাড়ায় একটি ঘরের ওপর পাহাড় ধসে একই পরিবারের দুই শিশু কেউচা কেয়াং, মেমাউ কেয়াং (১৩) ও গৃহবধূ মোকাইং কেয়াং নিহত হন।
বান্দরবানে নিহতরা হলেন- শহরের লেমু ঝিড়ি জেলেপাড়া এলাকার আবদুল আজিজের স্ত্রী কামরুন্নাহার বেগম (৪০), তার মেয়ে সুখিয়া বেগম (৮), কালাঘাটা এলাকার রেবা ত্রিপুরা (২২), লেমু ঝিড়ি আগাপাড়া এলাকার তিন শিশু- শুভ বড়ুয়া (৮), মিতু বড়ুয়া (৬) ও লতা বড়ুয়া (৫)।
রাঙ্গামাটিতে নিহতরা হলেন- রুমা আক্তার, নুরি আক্তার, জোহরা বেগম, সোনালি চাকমা, অমিত চাকমা, আয়ুস মল্লিক, লিটন মল্লিক, চুমকি দাস, মাহিমা আক্তার, মো. বাবু।