চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে পাহাড়ি এলাকার একটি পাড়ায় ‘অজ্ঞাত রোগে’ গত চার দিনে নয় শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
তিনি জানান, আক্রান্ত শিশুদের প্রচণ্ড জ্বরের সঙ্গে তীব্র শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে খিঁচুনি দিয়ে সংজ্ঞাও হারাচ্ছে।
অসুস্থ ৪৬ শিশুর মধ্যে ১২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং বাকিদের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজে (বিআইটিআইডি) ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশের বয়স দুই থেকে দশ বছর।
রোগ শনাক্ত করার জন্য অসুস্থ শিশুদের রক্তের নমুনা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ঢাকা থেকে ইতোমধ্যে বিশেষজ্ঞদের দুটি দল চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছে।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, “খবর পাওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে আমরা টিম পাঠিয়েছি। ওখানে ঠিক কী ঘটেছে তা তারা পরীক্ষা করে দেখবেন।”
পরিস্থিতি মোকাবেলায় সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন বলেন, তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে।
এই রোগ যাতে আর না ছড়ায় সেজন্য ত্রিপুরা পাড়ার শিশুদের স্কুলে না পাঠানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।