চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক শিশু (১০) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে একটি মুরগির খামারে ওই ঘটনা ঘটে।
নির্যাতিত শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত ধর্ষকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন দামুড়হুদার কুড়ালগাছি গ্রামের বাগানপাড়ার আমির হোসেন (২২) ও তাঁর সহযোগী মুরগির খামারের মালিক মো. মনিরুজ্জামান ওরফে মন্টু।
এদিকে খবর পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার মো. নিজাম উদ্দিন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটিকে দেখতে যান এবং চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০টার দিকে শিশুটি সমবয়সী শিশুদের সঙ্গে মনিরুজ্জামানের মুরগির খামারের পাশে খেলছিল। এ সময় খামারের কর্মচারী আমির হোসেন কৌশলে শিশুটিকে ডেকে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যার উদ্দেশ্যে দোতলা থেকে নিচে ফেলে দেন। খবর পেয়ে শিশুটির বাবা ছুটে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করেন এবং শিশুর বর্ণনা মতে আমির হোসেনকে ধরে ফেলেন। এরপর আমির হোসেনকে খামার মালিক মনিরুজ্জামানের জিম্মায় দিয়ে শিশুটিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক হোসনেজারী তাহমিনা আঁখি জানান, শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে শিশুটির বাবা অভিযুক্ত আমির হোসেনকে পুলিশে সোপর্দের জন্য খামারের মালিক মো. মনিরুজ্জামান ওরফে মন্টুকে অনুরোধ করলেও তিনি তাঁকে পালানোর সুযোগ করে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মো. নিজাম উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে পুলিশ গ্রামটিতে অভিযান চালায় এবং আমির হোসেন ও খামার মালিক মন্টুকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তাঁদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
দামুড়হুদা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জি এম ইমদাদুল হক জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের কাল মঙ্গলবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।