জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা মামলায় আজ রোববার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অংশ নেন। যুক্তিতর্ক শেষে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন।
সরকারপক্ষে মামলাটি পরিচালনাকারী বিশেষ পিপি রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বলেন, দীর্ঘ ৬০ কার্যদিবসে ৫৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আসামিদের পক্ষে একজন সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হলো।
মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আট আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা পাঁচজন হলেন নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পীরগাছার আঞ্চলিক কমান্ডার ও উপজেলার পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়ার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী (২১) ও জেএমবি সদস্য ইছাহাক আলী (২৫), কালীগঞ্জ বাজারের জেএমবি সদস্য আবু সাঈদ (২৮), বগুড়ার গাবতলীর জেএমবি সদস্য লিটন মিয়া ওরফে রফিক (২৩) এবং গাইবান্ধার সাঘাটার হলদিয়ার চরের সাখাওয়াত হোসেন (৩২)।
মামলায় পলাতক আসামি হলেন কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মকর রাজমাল্লী এলাকার আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব (২৪)। এ মামলার আসামি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের গজপুরি এলাকার নজরুল ইসলাম ওরফে হাসান ওরফে বাইক হাসান (২৮) অভিযোগ গঠনের আগেই রাজশাহীতে ও অভিযোগ গঠনের পর কুড়িগ্রামের রাজারহাটের চর বিদ্যানন্দ এলাকার সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাহুল ওরফে চঞ্চল ওরফে সবুজ ওরফে রবি (২১) ঢাকার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার কাচু আলুটারি গ্রামে কুনিও হোশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই দিনই কাউনিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।