খুলনার রূপসা উপজেলায় খাইরুল ইসলাম পরাগ সরদার (২৬) নামে এক যুবককে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকের ভেতর লুকিয়ে গুমের চেষ্টা করা হয়।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে রূপসা উপজেলার তিলক বাজারের জনতা মার্কেটের পার্শ্ববর্তী তরফদার বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পরাগের স্ত্রী তামান্না, শাশুড়ি, মামাশ্বশুর, তামান্নার প্রেমিক শাকিলসহ ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পরাগ সরদার রূপসা উপজেলার দক্ষিণ খাজাডাঙ্গা গ্রামের লতিফুল সরদারের ছেলে।
পরাগের চাচাতো ভাই সরদার কামাল হোসেন জানান, গত ১৯ জানুয়ারি রূপসা উপজেলার তিলক গ্রামের মৃত মুরাদ শেখের মেয়ে তামান্নার সঙ্গে পরাগের বিয়ে হয়। রোববার রাত ১০টার দিকে পরাগ তার শাশুড়ির ফোন পেয়ে খাজাডাঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে তিলক গ্রামে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পরে পরাগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে শ্বশুরবাড়িতে যোগাযোগ করলে পরাগ সেখানে যায়নি বলে জানানো হয়। এরপর তাকে সারা রাত খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। সোমবার সকাল ৯টার দিকে তার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে রক্তের দাগ দেখে খোঁজাখুঁজি করে তরফদার বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে তার লাশ পাওয়া যায়।
রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, পরাগের মাথা এবং হাত-পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহৃ রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরাগের স্ত্রী তামান্না, শাশুড়ি, মামাশ্বশুর, তামান্নার প্রেমিক শাকিলসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।