ঝিনাইদহ র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মুনির আহমেদ জানান, জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে মঙ্গলবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা গ্রামের ওই দুটি বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে এর বেশি তথ্য তার কাছ থেকে জানা যায়নি।
গত এক মাসের মধ্যে ঝিনাইদহে এ নিয়ে পাঁচটি জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পেল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
গত ২০ এপ্রিল সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে আব্দুল্লাহ নামে ধর্মান্তরিত এক ব্যক্তির বাড়ি ঘিরে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। দুই দিনের অভিযান শেষে ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে ২০টি কেমিকেল কন্টেইনার, ছয়টি বোমা, তিনটি সুইসাইড ভেস্ট, নয়টি সুইসাইড বেল্টসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হলেও সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি।
এরপর গত ৫ মে মহেশপুর উপজেলায় এক বাড়িতে পুলিশের অভিযানে নব্য জেএমবির দুই জঙ্গি নিহত হন। আর সদর উপজেলার লেবুতলায় আরেক বাড়িতে পাওয়া যায় আটটি বোমা ও একটি ৯ এমএম পিস্তল।
এর মধ্যেই ২৬ এপ্রিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের আরেক জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাওয়া যায়। ওই অভিযানে চারজন নিহত হন, বাড়িতে পাওয়া যায় অস্ত্র ও সুইসাইড ভেস্ট।
আর সর্বশেষ ১১ মে রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে এক জঙ্গি আস্তানা ঘিরে পুলিশের অভিযানে এক পরিবারের পাঁচজন নিহত হন, জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী। ওই বাড়িতে পাওয়া যায় ১১টি বোমা ও একটি পিস্তল।