মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক,ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। ৪৯ লাখ ৪৯ হাজার টাকার বিল পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৫ লাখ টাকা অফিস খরচ নেওয়া অভিযোগ মেসার্স শিমুল এন্টারপ্রাইজের মালিক ঠিকাদার মোঃ বাবুল আজাদ মানিস্যুটের (মামলা নং ০৪/২০১৭) এই মামলা করেন। ঝিনাইদহ সব জজ-১ আদালতের বিচারক বাদীর নালিশী অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিবাদীর প্রতি সমন জারী করেছেন। ঠিকাদার বাবুল আজাদ অভিযোগ করেন, এর আগে নির্বাহী প্রকৌশলীকে তার নিয়োজিত আইনজীবী এ্যডঃ মোঃ আবুল হোসেনের মাধ্যমে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু তিনি তাতে সাড়া দেন নি। ফলে টাকা উদ্ধারে তিনি আদালতের আশ্রয় গ্রহন করেন। বাদী তার নালিশী অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি ধীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহ সওজ বিভাগে ঠিকাদারী কাজ করে যাচ্ছেন। ২০১২-১৩ অর্থ বছরে তিনি ঝিনাইদহ যশোর সড়ক, আমতলী-তেলটুপি-আলমডাঙ্গা সড়ক, কুষ্টিয়া-মেহেরপুর-ঝিনাইদহ সড়ক উন্নয়নে টেন্ডারে অংশ নিয়ে কাজ করেন। এ যাবৎ ঝিনাইদহ সওজ বিভাগের কাঝে তার মোট পাওয়ানা ৪৯ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫১ টাকা। বিবাদী এই টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান অফিস খরচ বাবাদ ২০১৭ সালের ৮ মার্চ ৫ লাখ টাকা গ্রহন করেন। বিল পাইয়ে না দিতে পারলে তিনি এই টাকা ফেরৎ প্রদানের মৌখিক অঙ্গীকার করেন। এরপর ঠিকাদারের দাীকৃত ৫ লাখ টাকা না দিয়ে উল্টো তার ২০১১-১২ অর্থ বছরে জেআরসি টেন্ডার নং ৫ কাজটি বাতিল করে ১৬ লাখ ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা করে চিঠি দেন। বিষয়টি নিয়ে বাদীর আইনজীবী এ্যডঃ মোঃ আবুল হোসেন আগামী ৪ অক্টোবর মামলার পরবর্তী দিন ধার্য্য আছে। বিবাদীকে সমনের নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এ বষিয়ে কথা বলতে ঝিনাইদহ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হালেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।