দেশের তিন জেলায় গতকাল বজ্রপাতে ছয়জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুরে এক পরিবারের তিনজনসহ চারজন মারা গেছে। এ ছাড়া রাঙামাটিতে এক নারী ও রাজবাড়ীতে এক কৃষক প্রাণ হারিয়েছে। আমাদের প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর : ফরিদপুর : জেলার চরভদ্রাসনে বজ্রপাতে একই পরিবারের তিনজনসহ চারজন নিহত হয়েছে। গতকাল বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরমঈন ঘাট সংলগ্ন মাথাভাঙা এলাকায় পদ্মার চরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন-সদরপুর উপজেলার আকটেরচর ইউনিয়নের কুপারাম গ্রামের শেখ আরজান (৪৫), তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৩৫) ও তাদের মেয়ে বীথি আক্তার (১৫) এবং চরভদ্রাসনের মাথাভাঙা এলাকার জমির মোল্লার ছেলে বিল্লাল মোল্লা (৪০)। জানা গেছে, মাথাভাঙা এলাকায় ক্ষেত থেকে বাদাম তোলার সময় বজ্রপাতে আরজান, তার স্ত্রী ও মেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। আর গুরুতর অবস্থায় বিল্লালকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিত্সক মৃত ঘোষণা করেন। রাঙামাটি : জেলার নানিয়ারচর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাতাছড়া এলাকায় গতকাল সকালে বজ্রপাতে ফুলরানী চাকমা (৩৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। বাড়ির সামনে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। ফুলরানী চাকমা স্থানীয় বাসিন্দা জ্ঞানলাল চাকমার স্ত্রী। রাজবাড়ী : জেলার গোয়ালন্দে গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাসুদেব (৫৭) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামের মৃত ভুবন মোহনের ছেলে। স্থানীয়রা জানায়, বাসুদেব মাঠে কৃষিকাজ করছিলেন। বিকেল সাড়ে ৩টার সময় বৃষ্টির সঙ্গে হঠাত্ বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিত্সক মৃত ঘোষণা করেন। বরিশাল : জেলা মুলাদী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম চরলক্ষ্মীপুর গ্রামে গত শনিবার সন্ধ্যায় বজ্রপাতে তিনটি গরু মারা গেছে। এগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা। এ সময় তার আরও দুটি গরু আহত হয়। নীলফামারী : জেলার ডিমলা ও ডোমারে বজ্রপাতে নারী-শিশুসহ ২৪ জন আহত হয়েছে। আহতদের নিজ নিজ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।