ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অনুষ্ঠিত আসিয়ানের বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি।
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র হ্যারি রোকে বলেছেন, সু চি অঙ্গীকার করেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকের তিন সপ্তাহের মধ্যে রাখাইনের বাস্তচ্যুত লোকজনকে ফেরত নেওয়ার কাজ শুরু করবে মিয়ানমার সরকার।
আজ সোমবার ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রুদ্রিগো দুতার্তের মুখপাত্র হেরি রোক এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত ব্রিফ করেন।
বার্তা সংস্থা এপি জানায়, গত ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশের সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে সই করে মিয়ানমার। তবে ঠিক কবে থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে তা সু চি স্পষ্ট করেননি বলে জানা যায়।
৩১তম আসিয়ান সম্মেলনের আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকট প্রাধান্য পাবে এমন আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। এর ধারাবাহিকতায় প্লেনারি সেশনেই রোহিঙ্গা ইস্যুটি তুলে ধরেন আসিয়ান সদস্যভুক্ত দেশের একাধিক সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান। সংকট সমাধানে মিয়ানমারের তরফ থেকে কী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, কিংবা আদৌ কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, সেসব জানতে চাওয়া হয় সু চির কাছে।
এপি জানায়, প্রশ্নের মুখে সংকট সমাধানে মিয়ানমার সরকারের নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন সু চি। একই সঙ্গে সু চি দাবি করেন, আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন এবং মানবিক সহায়তার বিষয়টিকে স্বাগত জানায় তার সরকার। তবে গোটা আলোচনায় রোহিঙ্গা শব্দটি ব্যবহার করেননি তিনি।
রাখাইন রাজ্যের দায়িত্বে থাকা মেজর জেনারেল মং মং সোইকে কোনো কারণ না দেখিয়েই সরিয়ে দিয়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তার স্থলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সোয়ি টিনট নাইংকে। আগামী বুধবার মিয়ানমার সফর করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।