কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ায় তীব্র শীতের কারণে মানুষ ধরে রাখতে পারছে না জীবনযাত্রার স্বাভাবিক গতি। পারিবারিক জীবনে দৈনন্দিন কাজসহ খাওয়া-দাওয়া, খেলাধুলা ও ঘুমানোর সময় মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না তীব্র শীতের কারণে। শিশু ও বয়স্করা সহসাই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। হাট-বাজারের অধিকাংশ দোকান বন্ধ করা হচ্ছে সন্ধ্যার দিকে এবং পরের দিন দোকান খুলছে সকাল ১১টার দিকে। পাড়া-মহল্লায় সন্ধ্যাতেই নেমে আসে গভীর রাতের নিস্তব্ধতা। সকালে মিরপুর উপজেলার মশান গ্রামে দেখা যায়, লোকজন হড়ো হয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীতকে নিবারনের চেষ্টা করছে।মনির, জিয়া, আলামিন বলেন, তীব্র এই শীতে ঘর থেকে বের হতেই পারছি না।যদিও বা বের হচ্ছি কাজের জন্য। কিন্ত কোন কাজই ঠিকমতো করতে পারছি না। কয়েকজন মিলে আগুন জ্বালানো দেখে কাজ ফেলে তারাও যোগ দেয় আগুন তাপানো (সাজাল) উপভোগ করতে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, স্কুল-কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অর্ধেকেরও নাই। বিশেষ করে প্রাইমারী স্কুলগুলোর কোনো কোনো ক্লাসে কোনো শিক্ষার্থীই আসেনি। অপরদিকে ব্যাংক, এনজিও ও সরকারি অফিসগুলো সকাল ৯টায় কার্যক্রম শুরুর কথা হলেও সেটা কার্যতঃ সম্ভব হচ্ছে না। জেলা-উপজেলার বিভিন্ন সড়ক বিশেষ করে গ্রামীণ সড়কগুলোতে সকাল ১১টার আগে ও সন্ধ্যা ৬টার পর যানবাহন তুলনামূলকভাবে অনেক কম দেখা যাচ্ছে। কুষ্টিয়া জেনারেলহাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আএরমও) ডা: তাপস কুমার সরকার জানান, তীব্র শীতের কারণে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি শীতজনিত রোগে ভুগছে। এ সময় তাদেরকে অধিক যতেœ রাখতে হবে।
এস এম জামাল, কুষ্টিয়া থেকে।