দিনাজপুরে রাইস মিলে বয়লার বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২ জনে দাঁড়িয়েছে। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার রানীগঞ্জ মোড়ের মের্সাস যমুনা অটোমেটিক রাইস মিলে এ ঘটনা ঘটেছিল।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান মারুফুল ইসলাম জানান, রোববার সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুকুল মিয়া (৪৫), দেলোয়ার হোসেন (৫০) ও দুলাল চন্দ্রের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে মুন্না (৩২) মারা যান রাত সোয়া ৯টার দিকে।
এর আগে রোববার সকালে শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও উদয় চন্দ্রর (২২) মৃত্যু হয়। শনিবার রাতে মারা যান রঞ্জিত রায় (৫০)।
মুকুল, দেলোয়ার, দুলাল, শফিকুল ও উদয় যমুনা অটো রাইস মিলের শ্রমিক এবং রঞ্জিত রায় ব্যবস্থাপক ছিলেন।
দিনাজপুর সদর উপজেলার রানীগঞ্জ মোড়ে যমুনা অটো রাইস মিলে বুধবার বেলা ১১টার দিকে বয়লার বিস্ফোরণে নারীসহ ২১ জন শ্রমিক দগ্ধ হন। দগ্ধদের রংপুর ও দিনাজপুরে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার পর্যন্ত রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজনের মৃত্যু হয়।
মারুফুল ইসলাম বলেন, “হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নয় শ্রমিকের মধ্যে সাত জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে তিনজনকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। বাকি দুইজনের অবস্থা উন্নতির দিকে।”
এদিকে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দুইজনের শারীরিক অবস্থারও অনেকটা উন্নতি হয়েছে বলে হাসপাতালের পরিচালক সারওয়ার জাহান জানান।
এ ঘটনা তদন্তে বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে।