প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর হাতিরঝিলে অত্যাধুনিক অ্যাম্ফিথিয়েটার ও মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেনের উদ্বোধন করে বলেছেন, দেশবাসীর চিত্তবিনোদনের জন্য এগুলো তার নববর্ষের উপহার।
বাংলা নববর্ষের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ দুটি স্থাপনার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, যারা টেলিভিশনে বা ফেসবুক লাইভে এই অনুষ্ঠান দেখছেন, তাদের সবাইকে বাংলা নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জীবনযুদ্ধে হিমশিম খাওয়া মানুষগুলোর চিত্ত-বিনোদনের সুযোগ এমনিতেই কম। বর্তমান সরকার জীবনটাকে সহজ করার চেষ্টা করছে। হাতিরঝিলের দৃষ্টিনন্দিত স্থাপনা মানুষকে কিছুটা হলেও চিত্তবিনোদনের সুযোগ করে দেবে। তবে তিনি এলাকাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে ময়মনসিংহ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল নাসের চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্থাপনা দুটির বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মো. শফিউল হক ও হাতিরঝিল প্রকল্প পরিচালক মেজর জেনারেল আবু সাইদ মো. মাসুদ।
প্রকল্প পরিচালক জানান, এই মিউজিক্যাল ড্যান্সিং ফাউন্টেন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ‘সবচেয়ে বড়।
তিনি বলেন, গ্রিক ও রোমান সভ্যতার আদলে নির্মিত অ্যাম্পিথিয়েটার ও ওয়াটার ফাউন্টেন নির্মাণে প্রায় ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। এই অ্যাম্পিথিয়েটারে একসঙ্গে দুই হাজার দর্শক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন। এটি দেখতে পানির ওপর পাপড়ি মেলে থাকা ফুলের মতো।
তিনি জানান, এ উন্মুক্ত থিয়েটারটি রাষ্ট্রীয়, জাতীয় ও আন্তজার্তিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের পাশাপাশি নগরবাসীর সাংস্কৃতিক চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। আর বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বছরব্যাপী ঐহিত্যকে তুলে ধরবে ওয়াটার ফাউন্টেন।