আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বর্তমান প্রজন্মের শীর্ষ গায়িকা ন্যান্সি। বিএনপির হয়ে মনোনয়ন চাইছেন তিনি। উঠেপড়ে লেগেছেন জনমত তৈরি করতে। ঘন ঘন যাচ্ছেন নেত্রকোনায় নিজ এলাকায়। জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে অংশ নিচ্ছেন নানারকম প্রচার-প্রচারণা ও সমাজসেবায়।এমনই সব খবরে সরগরম মিডিয়াপাড়া। কিন্তু পুরোটাকেই গুজব বলে উড়িয়ে দিলেন ন্যান্সি।
তিনি বলেন, “গেল সপ্তাহে কিছু মনগড়া সংবাদ চোখে পড়েছে আমার। একটি জাতীয় দৈনিকসহ কিছু অনলাইনে খবর প্রকাশ হয়েছে, আমি বিএনপির হয়ে নির্বাচনে আসার জোর চেষ্টা তদবির চালাচ্ছি। কেউ কেউ লিখেছেন, দলটির হাইকমান্ড থেকে আমার সঙ্গে যোগোযোগ করা হয়েছে, আমিও যোগাযোগ করে যাচ্ছি। একেবারেই ভুয়া আর বানোয়াট কিচ্ছা কাহিনী সব। আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করেই গণমাধ্যমে আমাকে নিয়ে এমন অবান্তর কথাবার্তা ছড়ানোর সংবাদ কাম্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “এটা সত্যি, আমি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। বিএনপির আদর্শের রাজনীতি লালন করি দীর্ঘদিন ধরেই। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়ার কোনও পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত নেই আমার। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসলে অনেক কথাই শোনা যায়। এলাকার কেউ কেউ বলছেন, আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাকে নির্বাচনে চান। কিন্তু তার কোনও সত্যতা আমি পাইনি। নেত্রী যদি আমাকে সত্যি চাইতেন তবে তিনি তার প্রতিনিধি দিয়ে যোগাযোগ করতেন। কারও উস্কানি বা উৎসাহে আমি রাজনীতি করি না। আর দল যাকে মনোনয়ন দিতে চায় তার বাইরে গিয়ে কিছু ভাবারও ইচ্ছে আমার নেই। আমি চাই, বিএনপি দেশের জন্য ভালো কাজ করুক। এটা যে কোনওভাবে, যে কারও মাধ্যমে হতে পারে।”
নিজের সমাজসেবার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক নয় দাবি করে ন্যান্সি বলেন, “রাজনৈতিক উদ্দেশে সমাজসেবা করলে আমি ময়মনসিংহে করতাম না। নিজের এলাকা নেত্রকোনাতে থাকতাম, সেখানে জনসংযোগ বাড়াতাম। কিন্তু আমি ময়মনসিংহে স্বামীর বাড়িতে আছি নিয়মিত। এখানকার মানুষের জন্যই নানা কিছু করার চেষ্টা করি। যেমন গেল রোজায় টানা ৩০ দিন আমি স্থানীয় মসজিদে ইফতারি দিয়েছি।”