শনিবার (৩১ মার্চ) রাতে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ হুঁশিয়ারি দেন। সভা শেষে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের যে সব নেতা, এমপি ও মন্ত্রীরা অবস্থান নিয়েছেন, কাজ করেছেন এবং বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
সূত্র জানায়, সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরাজিত হয়েছে। অভ্যন্তরীণ এই কোন্দল বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারা নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের আর কখনই কোনো নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। এটা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে আমার হাত থেকে তারা জীবনেও নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পাবে না।
সুত্র আরও জানায়, অনেক জায়গায় নৌকা মার্কার প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলীয় এমপি ও মন্ত্রীদের অবস্থান নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। বলে এ সময় আলোচনায় উঠে আসে। এসব বিষয়ে তদন্ত করার জন্য এবং কারা কারা দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কাজ করেছে তাদের তালিকা তৈরি করে দেওয়ার জন্য দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সভায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরাজয়ের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। এই পরাজয়ের জন্য দলের জন্য কয়েকজন আইনজীবী নেতার ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
এ পরাজয়ের কারণ অনুসদ্ধানের জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহর নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আবদুর রহমান ও ডা. দীপুমণি।
এছাড়া সভায় বালাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এখনও সূচি ঠিক করা হয়নি।
পরবর্তীতে সংবর্ধনার চূড়ান্ত করা হবে বলেও নিশ্চিত করেছে ওই সূত্রটি।