চারদিনের দ্বিপাক্ষিক সফরে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১০৯৭ ভিভিআইপি ফ্লাইটটি শুক্রবার (৭ এপ্রিল) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ০২ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ১২টা ৩২ মিনিট) নয়াদিল্লির ভারতীয় বিমানবাহিনীর পালাম স্টেশনে অবতরণ করে।
বিমানের নিজস্ব বোয়িং-৭৭৭-৩০০ এয়ারক্র্যাফট ‘আকাশপ্রদীপ’র এই ফ্লাইটে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গেছেন মন্ত্রী-সচিব-উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলসহ ২৮৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ভারতের ভারী শিল্প ও গণপরিবহন বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হকসহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রীকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লির ঐতিহ্যবাহী রাষ্ট্রপতি ভবনে। চারদিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরকালে সেখানেই অবস্থান করবেন শেখ হাসিনা।
এর আগে, সকাল ১০টায় নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায় প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ‘আকাশপ্রদীপ’।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ অসামরিক-সামরিক ঊর্ধতন কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
দিল্লিতে পৌঁছানোর পর শুক্রবার বিকেলেই রাষ্ট্রপতি ভবনের লবিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। আর রাতে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীর দেওয়া অভ্যর্থনা ও নৈশভোজে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা।
চারদিনের এই সফরে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীসহ রাজনৈতিক দলের প্রধান, সরকারের মন্ত্রী, বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হবেন প্রধানমন্ত্রী।
ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তার ছেলে রাহুল গান্ধীও দেখা করবেন শেখ হাসিনার সঙ্গে। আর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে নয়াদিল্লিতে যাবেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।