রাজধানী ঢাকায় আজও অব্যাহত রয়েছে পরিবহণ ধর্মঘট। বাস, ট্রাক, পিকআপ যানবাহন চলাচলের সড়কগুলো অনেকটাই ফাঁকা।
বাস নেই বললেই চলে। পিকআপ, প্রাইভেট কার, টেম্পো, কোনো কিছুই চলছে না। চলছে রিকশা , কিছু সি,এন,জি আর প্রাইভেট গাড়ী চলছে কেবল। তা-ও সীমিত আকারে। এই পরিস্থিতি অফিসগামী হাজারো মানুষের জন্য বিড়ম্বনাকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে দূর গন্তব্যের অফিসগামী যাঁরা নিয়মিত বাসে যাতায়াত করেন, বাস না পেয়ে রীতিমতো নাকাল হচ্ছেন তাঁরা।
এর মধ্যে যানবাহন চলাচলে শ্রমিকদের বাধা দেওয়ার বিষয়টিও কর্মব্যস্ত মানুষের যাতায়াত জটিল করে তুলেছে। এমনকি কোথাও কোথাও ব্যক্তিগত গাড়ি চলতেও বাধা দিয়েছেন শ্রমিকেরা। অটোরিকশার সংখ্যাও কম।
গাড়ি না পাওয়ার ভোগান্তি নিয়ে কামরুল হাসান সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট লিখেছেন এবং ছবি শেয়ার করেছেন।
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মোবাশ্বের হাসান সকাল আটটায় তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, বাড্ডা এলাকায় শ্রমিকেরা ব্যক্তিগত গাড়িও চলতে দিচ্ছেন না। মানুষের দুর্ভোগ চরমে।
পরিবহন ঘর্মঘট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে অনেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বেছে নিয়েছেন। অনেকেই লিখেছেন, তাঁদের কেউ কেউ অফিসে যেতে পারেননি। কেউ দেরিতে গেছেন। আবার কেউ হেঁটে পথ ধরেছেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজনের প্রাণহানির মামলায় ঘাতক বাসের চালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেওয়া এই রায়ের প্রতিবাদে প্রথমে আঞ্চলিকভাবে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। এদিকে সাভারে ট্রাকচাপায় এক নারীকে হত্যার দায়ে চালকের বিরুদ্ধে সোমবার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। এরপরই গতকাল থেকে সারা দেশে ধর্মঘট আহ্বান করা হয়।
ছবি ও প্রতিবেদন-আকবর রাব্বী