পাহাড় ধসের পাঁচ দিন পর রাঙামাটির জুড়াছড়ি উপজেলার দুর্গম এলাকায় মাটিচাপা পড়া দুই তরুণ-তরুণীর লাশ পাওয়া গেছে।
রাঙামাটির নির্বাহী হাকিম খন্দকার মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত শনিবার সকালে জুড়াছড়ির দুমদুম্যা ইউনিয়ন থেকে দুজনের লাশ উদ্ধারের কথা সাংবাদিকদের জানান।
নিহতরা হলেন- তিয়ং চাকমা (১৭) ও চিগেচোথা চামা (১৭)।
ইখতিয়ার বলেন, এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় তাদের নিহত হওয়ার খবর আগে পাওয়া যায়নি।
এদিকে শনিবার সকাল থেকে রাঙামাটিতে রোদ থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা।
পার্বত্য বান্দরবান জেলার সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর সকালে নৌপথে বান্দরবানে পৌঁছেছেন। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় যাচ্ছেন।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচ জেলায় পাহাড় ধসে ১৫৬ জনের মৃত্যু তথ্য শুক্রবার জানিয়েছিল দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। তার মধ্যে রাঙামাটিতে মৃতের সংখ্যা ১১০ জন উল্লেখ করা হয়েছিল।
রাঙামাটিতে যে ১১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৪৩ জন পুরুষ, ৩৪ জন নারী এবং ৩৫টি শিশু।
সদর উপজেলার ৬৫ জন, কাউখালিতে ২১ জন, কাপ্তাইয়ে ১৮ জন, বিলাইছড়িতে দুইজন এবং জুড়াছড়িতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে ভূমি ধসে।
গত সোমবার রাত থেকে রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ি ঢল ও ভূমিধসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘঠে।
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান শুক্রবার বিকালে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
রাঙামাটির ১৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে দুর্গতদের খাদ্য সরবরাহ ও চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা ও চাল দেওয়া হচ্ছে। আহত প্রত্যেককে দেওয়া হচ্ছে পাঁচ হাজার টাকা ও চাল।