তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে কবি, কলামিস্ট ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহার নিখোঁজের ঘটনাকে নাটক মনে হয় বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের আইজিপি একেএম শহীদুল হক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় আইজিপি দাবি করেন, ফরহাদ মজহার মাইক্রোতে নয়, খুলনায় গেছেন বাসে করে।
আইজিপি বলেন, ‘সেদিন পুলিশ ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ১৮ ঘণ্টা চেষ্টার পর ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করে। এই সময় তিনি মোবাইল ফোনে নিজের স্ত্রী ফরিদা আখতারের সঙ্গে ১০ বার ও তার ভক্ত অর্চনা রানীর সঙ্গে ছয়বার কথা বলেছেন।’
শহীদুল হক বলেন, ‘গত ৩ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার কিছু সময় আগে ফরহাদ মজহার খুলনার একটি মার্কেটের দোকান থেকে অর্চনা রানীকে দুই দফায় ১৩ হাজার ও ২ হাজার করে মোট ১৫ হাজার টাকা রকেটের মাধ্যমে পাঠান। এ থেকে পুলিশ প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে, ওই নারীর টানেই তিনি বাসা থেকে বেরিয়ে যান।’
আইজিপি বলেন, ‘অর্চনা রানীর সঙ্গে যোগাযোগের কথা ফরহাদ মজহারের স্ত্রী নাও জানতে পারেন। সে জন্যই হয়তো ফরহাদ মজহার অপহরণের এই নাটক সাজিয়েছেন।’
গত ৩ জুলাই ভোর ৫টায় শ্যামলীর নিজ বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন ফরহাদ মজহার। এরপর তার মোবাইলফোন থেকে বেশ কয়েক দফায় ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৯ ঘণ্টা পর যশোরের শিল্পশহর নওয়াপাড়া থেকে উদ্ধার ফরহাদ মজহার। নওয়াপাড়া বেঙ্গল টেক্সটাইল মিলের সামনে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে তাকে উদ্ধার করে র্যাব।
ফরহাদ মজহার জবানবন্দিতে বলেছেন, তিনি অপহরণের শিকার হয়েছিলেন।