প্রায় এক বছরের মতো আড়ালেই ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌটুসী বিশ্বাস। টিভি পর্দার আড়ালে নয়। মৌটুসী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক থেকে দূরে সরে ছিলেন। গত বছর থেকে হঠাৎ ফেসবুকে নেই মৌটুসী। কারণ জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তেমন বিশেষ কিছু না। এখন ভালো লাগছে না। তাই ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাক্টিভেট করে রেখেছি। হয়তো আবার ফিরবো। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিজের আইডি সচল করে ফেসবুকে সরব হলেন মৌটুসী। সঙ্গে একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করে বন্ধু, ভক্তদের উদ্দেশ্যে লেখেন, ইয়াহ্, আই অ্যাম ব্যাক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে না থাকায় অনেককে মৌটুসী মিস করেছেন। আবার অনেকে তাকে মিস করেছেন। মৌটুসী বলেন, সত্যিই অনেক বন্ধু আছেন যাদের সঙ্গে নিয়মিত কথা হতো। অনেক কথা শেয়ার করতাম। সেসব ভালোলাগার মানুষদের খুব মিস করেছি। তবে আবার ফিরেছি। এখন মনে হচ্ছে একটু ভালোই লাগছে। এদিকে ফেসবুকে নিয়মিত না থাকলেও কাজ কিন্তু ঠিকঠাকই চালিয়ে গেছেন মৌটুসী। টানা ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি। সে সঙ্গে অভিনয় করেছেন খণ্ড নাটকেও। এ মুহূর্তে বেশকিছু ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন মৌটুসী। এগুলো হলো এস এ হক অলীকের পরিচালনায় ‘আয়না ঘর’, মাসুদ সেজানের ‘চলিতেছে সার্কাস’ ও আলভী আহমেদের ‘দ্যা কর্পোরেট’। এছাড়া শহীদুজ্জামান সেলিমের পরিচালনায় ‘একঝাঁক মৃত জোনাকি’ শিরোনামের একটি ধারাবাহিক প্রচারের অপেক্ষায় রয়েছে। অভিনয়ের সঙ্গে বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেলিংও নিয়মিত করছেন এ অভিনেত্রী। গত বছর রেড কাউ মিল্ক পাউডারের বিজ্ঞাপনের কাজ করেছিলেন তিনি। বর্তমানে সেটি বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারও চলছে। সে ধারাবাহিকতায় সমপ্রতি একটি খাতার বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছেন এ অভিনেত্রী। অন্যদিকে উপস্থাপনায়ও সরব মৌটুসী। কিশোরদের নিয়ে বিশেষ একটি অনুষ্ঠানের কাজ শেষ করেছেন সমপ্রতি। ‘দুরন্ত কৈশোর’ নামের ওই অনুষ্ঠানটি প্রচার হচ্ছে চারটি চ্যানেলে। এ প্রসঙ্গে মৌটুসী বলেন, কিশোরদের নিয়ে করা এ কাজটি দারুণ লেগেছে। দর্শক উপভোগ করবেন বলেই আমার বিশ্বাস। নাটক, বিজ্ঞাপন কিংবা উপস্থাপনায় নিয়মিত হলেও মূলত নাটকের প্রতিই ধ্যান-জ্ঞান মৌটুসীর। কিন্তু এখনকার ধারাবাহিক নিয়ে প্রায়ই বিতর্কই শোনা যায় নানা মহলে। ভালো নাটক হচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেকের। এ ব্যাপারে মৌটুসী বলেন, এ সময়টা এমনিতে আমাদের জন্য খারাপ বললে ভুল হবে না। নাটকের অবস্থার কথা যদি বলি অনেকটাই হালছাড়া ভাব। কোনো নাটকের গল্প যেন এগুতে চায় না। চ্যানেল থেকে প্রিভিউ করা এবং অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন নিয়ে প্রশ্ন জাগে প্রায়ই। অভিনয় শিল্পীদের যা পারিশ্রমিক অনেক কাজ হাতে না নিলে খরচ পোষানো কঠিন হয়ে যায়। নির্মাতা কিভাবে বাজেট নিয়ন্ত্রণ করবে, এপিসোড কিভাবে নামাবে এ নিয়ে একটা যুদ্ধ চলে। চ্যানেল থেকেও আজকাল তাদের পছন্দের শিল্পী নিতে বলা হয়। এতে করে অনেক শিল্পী ভালো কাজ করতে চেয়েও সুযোগ কম পাচ্ছে। তবে এ সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী বলেও আমি মনে করি না। আশা করছি টিভি নাটকে সুদিন আবারো ফিরে আসবে।