বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় জব্দ পাঁচটি মোবাইল ও একটি ডিভাইসের ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেন এই আদেশ দেন।
মামলার আলামত হিসেবে আসামিদের কাছ থেকে জব্দ করা পাঁচটি মোবাইল ও একটি ডিভাইস পরীক্ষা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছিল পুলিশ। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আদেশ দেন।
জব্দ মোবাইল ও ডিভাইসের ফরেনসিক পরীক্ষা করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
মামলার দুই আসামি শাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ গত বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
ধর্ষণ মামলার বাদীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন শাফাত। তবে তাঁর বর্ণনা আর এজাহারে উল্লেখিত প্রেক্ষাপটের মাঝে কিছু ফারাক রয়েছে জানিয়ে পুলিশের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, শাফাতের জবানবন্দিতে এজাহারে উল্লিখিত অভিযোগের সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সাদমান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেননি তিনি।
মামলার অন্য আসামি শাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফ (আবদুল হালিম) এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি রিমান্ডে আছেন। এ ছাড়া শাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলীকেও রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
গত ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হন—এই অভিযোগে ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ঘটনার শিকার এক ছাত্রী। আসামিরা সবাই গ্রেপ্তার আছেন।