বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক হতে যাচ্ছেন অস্ট্রিয়ার রক্ষণশীল পিপলস পার্টির নেতা সেবাস্টিয়ান কার্জ। রোববার অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হলে চ্যান্সেলর হিসেবে দেশটির ক্ষমতায় বসবেন ৩১ বছর বয়সী সেবাস্টিয়ান। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে পিপলস পার্টির জয় অনেকটাই নিশ্চিত।
কার্জকে তার দেশে বলা হয় ‘বিস্ময়বালক’। মাত্র ৬ মাস আগেও তার এমন উত্থান কেউ ভাবেনি। তবে গত কয়েক মাসে অভিবাসী বিরোধী ক্যাম্পেইন করে জয় করে নেন অস্ট্রিয়াবাসী মন। ইউরোপে ডানপন্থীদের ক্রমবর্ধমান উত্থানে সেবাস্তিয়ান কার্জ যোগ করলেন নতুন মাত্রা। ভোট শুরুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত “অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করো” শীর্ষক একটি প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।
রোববারের ভোটের ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা না হলেও বুথ ফেরত জরিপে দেখা গেছে, কার্জের পিপলস পার্টি ৩১ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেয়ে জয় নিশ্চিত করবে। ইতোমধ্যে নিজেদের বিজয় ঘোষণা করে উৎসবে মেতেছে পিপলস পার্টির সমর্থকরা। সম্ভাব্য জয়ের আগে এক সমাবেশে সর্মথকদের ধন্যবাদ জানান কার্জ। অস্ট্রিয়ার উন্নয়ন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
কার্জ বলেন, কঠিন পরিশ্রমের পর এ জয় এসেছে। শুধু নির্বাচনে জয় আমাদের লক্ষ্য নয়, দেশের উন্নয়ন এবং ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য কাজ করবো। আশা করি সেখানেও আপনাদের সর্মথন পাবো। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষার পাশাপাশি সব দলকে সাথে নিয়েই এগিয়ে যাবো আমরা।
পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে খুব বেশিদিনের পথচলা নয় কার্জের। দায়িত্ব নিয়েছেন গত মে মাসে। অভিবাসীদের জন্য অস্ট্রিয়ার দরজা বন্ধ করে প্রচারণা চালিয়ে ভোটে জিতেছেন।
২০১৩ সালে মাত্র ২৭ বছর বয়সে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন এই বিস্ময়বালক। গুরুদায়িত্ব সামলেছেন সাফল্যের সাথে। এরপর দায়িত্ব পান এর আগে আইন বিষয়ে পড়াশোনা ছেড়ে নামেন রাজনীতিতে। ক্যারিয়ার শুরু করেন পিপলস পার্টির যুব দলের সদস্য হিসেবে।
১৯৮৬ সালে জন্ম নেয়া কার্জ এখন পর্যন্ত সংসারের গাটছড়া না বাঁধলেও প্রণয়ের সম্পর্ক রয়েছে সুসান থেইয়ারের সাথে। সরকার গঠন করলে বর্তমান বিশ্বে কার্জ হবেন সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক। উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন তার চেয়ে দুই বছরের বড়।
‘অস্ট্রিয়ানতে মুসলিমরা অস্ট্রিয়ানদের সমান্তরাল আরেক কম্যুনিটি’ এমন মন্তব্য করে আলোচনায় এসেছিলেন কার্জ। ২০১৫ সালে তার দেশে ইসলামিক কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ করে দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছিলেন কার্জ।