ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তাজুল ইসলাম মাহমুদ ওরফে মামা হুজুর নামে (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কসবা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেনসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
পু্লিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩৫টি ককটেল, পাঁচটি পাইপগান, নয় রাউন্ড কার্তুজ ও পাঁচটি চাপাতি উদ্ধার করেছে।
বুধবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার কুটি এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধ হয়।
নিহত মামা হুজুরের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার কুরশি ইউনিয়নের সাদুল্লাপুর গ্রামে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন আহাম্মেদ জানান, নিহত মামা হুজুর জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। এ বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জগন্নাথপুর গ্রামের কবিরাজ ফরিদ মিয়া হত্যা মামলার অন্যতম অাসামি। এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অারেক অাসামির ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে এ হত্যার ঘটনায় মামা হুজুরের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে অাসে।
ওসি আরো জানান, নাশকতার উদ্দেশে রাতে দলবল নিয়ে কুটি এলাকায় জড়ো হন মামা হুজুর। খবর পেয়ে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় মামা হুজুরের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ১৪টি ককটেল ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে মামা হুজুরের লোকজন পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলে মামা হুজুরের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া যায়। এসময় সেখান থেকে এসব বিস্ফোরক, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
নিহত মামা হুজুরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।