ভুয়া সংবাদ ঠেকাতে সত্যতা যাচাইকারীদের কাছে আরও বেশি সন্দেহজনক প্রতিবেদন পাঠানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ফেসবুক। সেই সঙ্গে প্রতিবেদনগুলো যাচাই করার পর প্রাপ্ত ফলাফল অনলাইনে প্রকাশও করবে তারা। নিজেদের প্লাটফর্ম থেকে ভুয়া সংবাদ সরাতে সামাজিক মাধ্যমগুলো যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না-এমন সমালোচনার মুখে নতুন এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটি। সেই সঙ্গে চারটি দেশে নতুন কিছু ফিচারও চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এগুলোর মাধ্যমে সমস্যা রয়েছে-এমন বিভিন্ন প্রতিবেদনের বিকল্প লিঙ্কও প্রকাশ করবে, বলা হয়েছে বিবিসির প্রতিবেদনে। কিন্তু কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ইতোমধ্যেই বলেছেন এই পদক্ষেপ খুব বেশি কিছু করতে পারবে না। যুক্তরাজ্যের সিটি ইউনিভার্সিটির জ্যেষ্ঠ প্রভাষক টম ফেলে বলেন, দর্শকদের সূত্র প্রদর্শন করাটা সহায়ক। কিন্তু এটি ওই কনটেন্ট ছড়ানো ঠেকাতে কিছু করবে না, বা এ ধরনের কনটেন্ট বানিয়ে যারা অর্থ কামাচ্ছে তাদের কাছে সেসব ভুয়া সংবাদের সাইটগুলোতে ট্রাফিক থামাবে না। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর থেকেই ভুয়া সংবাদ ছড়ানো নিয়ে সমালোচিত হয়ে আসছে ফেসবুক। চলতি বছর মে মাসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালেও ভোটাররা প্রচুর ভুয়া সংবাদ পান। বৃহস্পতিবার ফেসবুকের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, তারা ভুয়া সংবাদ শনাক্তকরণ উন্নত করতে ‘মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি আপডেট’ করেছে। এক ব্লগ পোস্টে ফেসবুকের নিউজ ফিড-এর পণ্য ব্যবস্থাপক সারা সু বলেন, যদি একটি প্রতিবেদন সত্যতা যাচাইকারীরা যাচাই করেন, আমরা হয়তো মূল পোস্টগুলো নিচে সত্যতা যাচাই করা প্রতিবেদনগুলো দেখাতে পারব। এক মুখপাত্র পরে নিশ্চিত করে বলেন, এই প্রতিবেদনগুলো ভুয়া সংবাদগুলোর বিরুদ্ধে ‘সরাসরি কোনো জবাব’ হবে না কিন্তু প্রকৃত প্রতিবেদনগুলোর বিকল্প হিসেবে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার প্রতিষ্ঠানটি যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি ও নেদারল্যান্ডসে ‘রিলেটেড আর্টিকেলস’ নামের নতুন এই ফিচার চালু করে। এটি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছর এপ্রিল থেকে পরীক্ষা চালাচ্ছে। এটি জনপ্রিয় বা সন্দেহজনক প্রতিবেদনগুলোর নিচে এ সংক্রান্ত অন্যান্য সংবাদ প্রতিবেদনগুলো ব্যবহারকারীদের ‘আরও ধারণা ও বাড়তি তথ্য’ প্রদান করবে।