নারীদের সংসার জীবন নিয়ে ভরপুর ব্যস্ততা তো থাকেই। জীবনের অনেকটা সময় পেরিয়ে মধ্যবয়সে একপর্যায়ে নারীদের সেই ব্যস্ততা কমে। সন্তানেরা বড় হয়ে নিজেদের জগৎ গড়ে নেয়। স্বামীও কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। অনেক সময় স্ত্রীর একা একা লাগে। পাশাপাশি চুল পাকতে শুরু করে, কপালে পড়ে বলিরেখা। মন বিক্ষিপ্ত ও মেজাজ খিটখিটে হয়ে ওঠে। ঘুমের সমস্যা, শরীরে ব্যথা-বেদনা, জ্বালাপোড়া প্রভৃতি সমস্যার শুরু মধ্যবয়সেই। এটাকে মিডলাইফ ক্রাইসিস বা মাঝবয়সের সংকট বলে।
৪৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সটা নারীরা একধরনের মানসিক সংকট পার করেন। শরীর-মনে পরিবর্তনের পাশাপাশি সুস্থতা বা ফিটনেস কমতে থাকে। রোগবালাইয়ের আক্রমণ বাড়ে। বিভিন্ন সামাজিক সম্পর্কের সমীকরণ পাল্টাতে থাকে। কাজকর্ম ও পেশাজীবন নিয়ে অনেক সময় অসন্তুষ্টি তৈরি হয়। চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাতে গিয়ে দানা বাঁধে অভিমান, অনুশোচনা। এসবের নেতিবাচক প্রভাব শরীরেও পড়ে। এ সময়ই রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ ইত্যাদির আক্রমণ বাড়তে থাকে। অনেকে মুটিয়ে যান, কারও রক্তে চর্বি বেড়ে যায়। ফলে মানসিক সংকট আরও বাড়ে। এই পরিবর্তনকে অনেকে ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেন না। কোনো কোনো নারী মনে করেন, সৌন্দর্য হারিয়ে যাচ্ছে। মেনোপজকে অনেকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেন না। সব মিলিয়ে মাঝবয়সে বিষণ্নতায় আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা পুরুষের তুলনায় নারীদের প্রায় দ্বিগুণ।
কিছু পরামর্শ:
নিজের শরীরের সুস্থতার দিকে নজর দিন। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা চেকআপ করান। প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি বা ব্যায়ামের অভ্যাস করুন। পুরোনো বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ান। পুরোনো বা হারিয়ে যাওয়া কোনো শখ, যেমন গান শোনা, ছবি আঁকা অথবা সেলাই করা ইত্যাদির চর্চা আবার শুরু করুন। কেবল টেলিভিশন দেখে নয়, সময় কাটান উৎপাদনশীল কোনো কাজে।