মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রাম ও ধল্লা এলাকায় ২০ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় তাদের আটকের পর রাতে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নেয়া হয়। বিষয়টি সিংগাইর থানার ওসি ইমাম হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
সম্প্রতি মিয়ানমার থেকে প্রাণ বাঁচানোর জন্য কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে রোহিঙ্গারা। সেখান থেকে রোহিঙ্গারা পালিয়ে কক্সবাজার শহর ও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গারা। বুধবার দুপুর এবং সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে সিংগাইর থানা পুলিশ ২০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে।
সিংগাইর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল মান্নান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিংগাইর উপজেলার চারিগ্রামের মাওলানা তাজুল ইসলামের বাড়ি থেকে দুপুরে নয়জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। সন্ধ্যায় উপজেলার ধল্লা এলাকার ফিরোজ মুন্সির বাড়ি থেকে আরো ১১ রেহিঙ্গাকে আটক করা হয়।
দুপুরে চারিগ্রাম থেকে আটকরা হলো- ফয়েজুল ইসলাম (৩৫), আমেনা খাতুন(৭০), রাফিয়া বিবি(১৮), হাফসা বিবি(২৮), আরমান(৭), রুম্মান(৪), আবদুল হান্নান(৩), রুনাত (১) ও হাছিনা আক্তার (৭৩)।
সন্ধ্যায় আটক করা ১১ জন রোহিঙ্গার নামপরিচয় না পাওয়া গেলেও তারা আরাকান রাজ্যের মংডু জেলার মন্ডুকাদেরবিল গ্রামের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
চারিগ্রামের রোহিঙ্গা আশ্রয়দাতা মাওলানা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “চারিগ্রাম বাজারের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জাইল্যা গ্রামের আলমগীর আমাকে বলে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নে কয়েকটি রোহিঙ্গা পরিবার এসেছে। সেখান থেকে একটি পরিবারকে আমার বাড়িতে আশ্রয় দেয়ার কথা বলে আমি তাদের বাড়িতে নিয়ে আসি।”
তিনি আরো জানান, সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আশ্রিত রোহিঙ্গারা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছে।